বাউফলে ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীর ওপর ছাত্রলীগের হামলা
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের হামলার অভিযোগ উঠেছে। এতে অন্তত ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার সূর্য্যমণি ইউনিয়নের ইন্দ্রকূল চার রাস্তার মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ছাত্র অধিকার পরিষদের বাউফল উপজেলা শাখার আহ্বায়ক মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক (একাংশ) তানজিল ইসলাম ওরফে অভির নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একটি দল ওই হামলা চালান। উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সদস্য কে এম শাহীন (২৫) কিছুদিন ধরে টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ। তাঁকে দেখতে তাঁরা কয়েকজন নেতা-কর্মী ইন্দ্রকূল গ্রামে শাহিনের বাড়িতে যান।
সেখান থেকে ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক কার্যক্রমে যোগ দেওয়ার জন্য বিকেল চারটার দিকে ইন্দ্রকূল চার রাস্তার মোড়ে পৌঁছালে তানজিলের নেতৃত্বে লাঠিসোঁটা নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে মো. মেহেদী হাসান (২৩), মো. রাশেদুল (২৪), মো. আলামিনসহ (২২) ছাত্র অধিকার পরিষদের ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
রাশেদুল আরও বলেন, ‘এ বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) জানানো হয়েছে। তিনি লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছেন। আমরা এখন (রাত পৌনে আটটা) থানায় অবস্থান করছি।’
এ বিষয়ে জানতে তানজিল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তানজিলের বাবা সূর্য্যমণি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বলেন, তাঁরা (ছাত্র অধিকার) কাউকে না জানিয়ে সভার প্রস্তুতি নিয়ে অনেক লোক জড়ো করছিলেন। করোনাকালীন তাঁরা সভা করতে পারেন না। এ কারণে স্থানীয় লোকজন ও ছাত্রলীগের কর্মীরা তাঁদের ওই সভা করতে দেয়নি। তখন তাদের (ছাত্র অধিকার) সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়েছে, মারামারি হয়নি। এ ঘটনার সঙ্গে তাঁর ছেলে জড়িত নন।
ওসি আল মামুন বলেন, বিষয়টি তাঁকে মুঠোফোনে জানানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।