বাউফলে পরিবারের সবাইকে অচেতন করে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় একটি পরিবারের সবাইকে অচেতন করে লক্ষাধিক টাকা ও প্রায় ১২ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার বগা ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ওই পরিবারের অচেতন সাত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁরা হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. চান মিয়া (৬৮), তাঁর স্ত্রী মোসা. ফরিদা খাতুন (৬১), মা মাজেদা বেগম (৮৯), তাঁর বড় ভাই আবদুল হক মুন্সির স্ত্রী হালিমা বেগম (৭২) ও তাঁর মেয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফারজানা বেগম (৩৪), কহিনুর বেগম (৫৭) ও তাঁর মেয়ে মোসা. লিপি বেগম (৩২)।
চান মিয়ার ছেলে গলাচিপা উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. মাসুদ বলেন, তাঁদের স্বজনদের তিনটি ঘরের সাত ব্যক্তিকে গতকাল রাত একটার দিকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত (শনিবার বিকেল চারটা) তাঁরা কেউ স্বাভাবিক হননি।
মাসুদ আরও বলেন, ‘রাতে বাবা ছাড়া তিনটি ঘরে কোনো পুরুষ সদস্য ছিলেন না। দুর্বৃত্তরা তিনটি ঘর থেকে লক্ষাধিক টাকা ও প্রায় ১২ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে। কীভাবে কী হলো কিছুই বুঝতে পারছি না।’
স্থানীয় বাসিন্দা ও স্বজনদের ধারণা, খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে এমনটি করা হয়েছে। যারাই এই ন্যক্কারজনক কাজের সঙ্গে জড়িত, তারা পরিবারের চেনাজানা মানুষ।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, এখন পর্যন্ত তাঁরা সবাই অসুস্থ। সুস্থ হওয়ার পরে তাঁদের সঙ্গে কথা বলে আসল ঘটনা উদ্ঘাটন করা হবে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।