বাউফলে স্বাস্থ্য সহকারীকে মারধরের অভিযোগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. শাহিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে উপজেলা স্বাস্থ্য সহকারীকে মারধর ও গালিগালাজ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ রোববার দুপুরে স্বাস্থ্য সহকারী আল আমিন সিকদার ও ইউনিয়ন সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক তাসলিমা বেগম এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
লিখিত অভিযোগ ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার সারা দেশের মতো বাউফল উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে করোনার গণটিকাদান কার্যক্রম চলছিল। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ছয় সদস্যের একটি দল অনলাইনে নিবন্ধনধারী ব্যক্তিদের আগে টিকা দিচ্ছিল। বেলা ১১টার দিকে ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার এসে এতে বাধা দেন। তিনি ইউপি সদস্যদের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি রেখে টিকা দেওয়ার জন্য বলেন। তখন তাসলিমা বেগম ও আল আমিন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার নির্দেশ অনুযায়ী অনলাইনে নিবন্ধনধারী ব্যক্তিদের টিকা দিতে থাকেন। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন ক্ষুব্ধ হয়ে আল আমিনকে কিলঘুষি মারেন। একপর্যায়ে আল আমিন মাটিতে পড়ে গেলে তাঁকে লাথি মারেন চেয়ারম্যান। সেই সঙ্গে তাসলিমা বেগম ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার নাম ধরে শাহিন হাওলাদার অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করেন। তাঁদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। এতে প্রায় এক ঘণ্টা টিকাদান কর্মসূচি বন্ধ ছিল।
আল আমিন সিকদার অভিযোগ করেন, চেয়ারম্যান মারধর করেই ক্ষান্ত ছিলেন না। তাঁকে প্রকাশ্যে মেরে ফেলারও হুমকি দিয়েছেন। তাসলিমা বেগম বলেন, ‘একজন চেয়ারম্যানের মুখ থেকে প্রকাশ্যে এত খারাপ গালি বের হতে পারে, তা কখনো ভাবতে পারিনি।’
অভিযোগের বিষয়ে চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার বলেন, ‘১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের আগে টিকা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা না করে ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের টিকা দিচ্ছিলেন। আমি এর প্রতিবাদ করায় তাঁদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা হয়েছে। মারামারি ও গালিগালাজের অভিযোগ সত্য নয়।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সাহা বলেন, গতকাল টিকা কার্যক্রম শেষ করে আল আমিন তাঁকে মুঠোফোনে বিষয়টি জানিয়েছেন। পরে আজ তাঁরা লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানিয়েছেন। এ বিষয়ে সরকারি বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইউএনও জাকির হোসেন বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তাঁকে বিষয়টি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।