বাকি দুই আসামিও দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিলেন

সিলেট এম‌সি ছাত্রাবাসে তরুণী ধর্ষণ মামলায় মাহফুজুর রহমানকে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আজ রোববার দুপুরে আদালতে আনা হয়
প্রথম আলো

সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় আরও দুই আসামি তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ নিয়ে মামলার এজহারভুক্ত ছয় আসামিসহ গ্রেপ্তার মোট আটজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে রোববার বেলা আড়াইটার দিকে পুলিশি পাহারায় তারেকুল ও মাহফুজুরকে আদালতে আনা হয়। এরপর তাঁদের সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ বিচারক মো. জিয়াদুর রহমানের আদালতে হাজির করা হয়। পরে তাঁরা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হলে মাহফুজুর রহমান সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২–এর বিচারক সাইফুর রহমানের আদালতে এবং তারেকুল ইসলাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ বিচারক মো. জিয়াদুর রহমানের আদালতে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি দেওয়া শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে তাঁদের জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন আদালতের বিচারক।

আরও পড়ুন

গত শুক্রবার ও শনিবার দুই দফায় মামলার অপর ছয় আসামি রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হলে তাঁরা আদালতে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাঁরা হলেন সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম, শাহ মো. মাহবুবুর রহমান ওরফে শাহ রনি, মো. রাজন ও আইনুদ্দিন।

সিলেট মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) অমূল্য কুমার চৌধুরী জানিয়েছেন, মামলার দুই আসামির রিমান্ড শেষে আদালতে আনা হলে তাঁরা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। পরে তাঁরা আদালতের বিচারকের কাছে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। সন্ধ্যায় আদালতের নির্দেশে তাঁদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগের একটি পক্ষের কর্মী হিসেবে পরিচিত সাইফুর রহমান, তারেকুল ইসলাম, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম, শাহ মো. মাহবুবুর রহমান ওরফে শাহ রনি ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুমকে এজাহারভুক্ত আসামি করে মামলা হয়। মামলার এজাহারের বাইরে আরও দু-তিনজনকে আসামি করা হয়। নগরীর বাইরে পালাতক থাকা অবস্থায় মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ও র‌্যাব।

আরও পড়ুন