বাগেরহাটে খালের দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু
বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা সদরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া খালের দুই পাশে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
সোমবার সকালে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাশেদুজ্জামানের নেতৃত্বে উপজেলার বোয়ালিয়া ভ্যানস্ট্যান্ড থেকে এই উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়। খালটি স্থানীয়ভাবে হক ক্যানেল নামে পরিচিত।
পাউবো ও প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, দখল, ময়লা ফেলাসহ নানা কারণে দীর্ঘদিন ধরে নাব্যতা সংকটে আছে হক ক্যানেল। সম্প্রতি খালটি খননের জন্য দরপত্র আহ্বান ও ঠিকাদার নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পাউবো। তবে অবৈধ দখলদারদের বাধার মুখে খনন কার্যক্রম শুরু করতে পারছিল না ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ খালটির দুই পাশে থাকা কয়েক শ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের উদ্যোগ নেয় পাউবো। প্রথম দিনে খালের দুই পাশের অর্ধশত পাকা, আধা পাকা, কাঁচা ও অস্থায়ী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
উচ্ছেদ কার্যক্রম নির্বিঘ্ন করতে অভিযানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইয়েদা ফয়জুন্নেছা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) জান্নাতুল আফরোজ উপস্থিত ছিলেন।
পাউবো বাগেরহাট কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুম বিল্লাহ বলেন, চিতলমারী উপজেলাবাসীর জন্য হক ক্যানেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খালটির খননকাজ শেষ হলে যেমন নাব্যতা ফিরে পাবে, তেমনি স্থানীয় মানুষ নানা কাজে এর পানি ব্যবহার করতে পারবেন। অবৈধ স্থাপনার কারণে চিতলমারী বাজারসংলগ্ন হক ক্যানেল এক কিলোমিটার এলাকা খননকাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল। এ জন্য অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করা হয়েছে। তিন–চার দিনের মধ্যে খালের পাশের সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শেষ হবে।