রাজশাহীর বাঘায় এক কিশোরীকে (১৪) ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের অভিযোগে তিন তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার সন্ধ্যার পর উপজেলার এক এলাকায় ওই কিশোরী ধর্ষণের শিকার হন। অভিযোগ পেয়ে রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন উপজেলার উত্তর মিলিকবাঘা গ্রামের এমদাদ আলীর ছেলে তারিক হোসেন (২৪), একই গ্রামের সাদেক আলীর ছেলে নাসির হোসেন (২৩) ও বাজুবাঘা গ্রামের নওসেন আলীর ছেলে সবুজ আলী (২১)। মামলার আরকে আসামি সুমন হোসেন ওরফে আলামিন (২২) পলাতক।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আলামিন নামের ওই তরুণের সঙ্গে ভুক্তভোগী কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। এই সুবাদে গতকাল সন্ধ্যায় ওই কিশোরীকে ফোন করে ডেকে আনেন আলামিন। সেখানে ছিলেন আলামিনের এক বন্ধু। কাজের কথা বলে ওই বন্ধুর সঙ্গে কিশোরীকে রেখে চলে যান আলামিন। রাত হয়ে যাওয়ায় কিশোরী আলামিনকে ফোন দেয়। কিন্তু ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।
পরে ওই বন্ধু তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। কিন্তু তিনি আরও দুই বন্ধুর সঙ্গে কিশোরীকে রেখে চলে যান। ওই দুজন একটি মাঠে নিয়ে গিয়ে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে ওই কিশোরীসহ তাঁর এক দূরসম্পর্কের আত্মীয় বাঘা থানা–পুলিশকে অবগত করেন। ওই দিন রাত ১২টায় কিশোরী বাদী হয়ে চারজনের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ধর্ষণ মামলা করে।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ওই কিশোরী আলামিনকে অন্য একটি নামে চিনত। আর কারও পরিচয় দিতে পারছিল না। পরে কৌশলে গতকাল রাত ১২টা থেকে ভোররাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুপুরে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এই মামলার আরেক আসামি আলামিনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আজ সোমবার ওই কিশোরীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে।