বাজারে গিয়ে নাতনির পর প্রাণ গেল দাদারও
দাদার সঙ্গে শখ করে বাজারে যায় তাঁর তিন বছর বয়সী নাতনি হাফসা। বাজারে কেনাকাটা শেষে ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে ফিরছিলেন দাদা-নাতনি। পেছন থেকে ভ্যানে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলে মারা যায় হাফসা। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যান হাফসার দাদা হালিম ফকির (৬০)।
আজ শুক্রবার বেলা একটার দিকে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট তেলের পাম্পের সামনে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত ভ্যানচালক এসকেন শেখ (৫০) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নিহত হাফসা আক্তার উপজেলার ঘোষালকান্দি গ্রামের হাফিজুল ফকিরের মেয়ে। হাফিজুল ফকির বলেন, ‘দুর্ঘটনায় আমার বাবা ও মেয়ে দুজনই চলে গেল। প্রথমে মেয়ে চলে গেল, ভাবছি বাবা বেঁচে ফিরবে। কিন্তু তিনিও চলে গেল। বাবা ও মেয়ের মৃত্যুর শোক কোনোভাবেই মানতে পারছি না।’
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, দাদা-নাতনিকে বহন করা ভ্যানটি টেকেরহাট তেলের পাম্পের সামনে এলে পেছন থেকে ঢাকাগামী বিএমএফ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলে হাফসা মারা যায়। আহত হন হাফসার দাদা হালিম ফকির ও ভ্যানচালক এসকেন শেখ। স্থানীয় লোকজন আহত দুজনকে উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। বিকেল পাঁচটার দিকে হালিম ফকির চিকিৎসাধীন মারা যান।
রাজৈর থানার পরিদর্শক সঞ্জয় ঘোষ বলেন, বাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলে শিশুটি মারা যায়। পরে ফরিদপুর চিকিৎসাধীন তার দাদা মারা যান। ভ্যানচালকের অবস্থাও গুরুতর। তাঁর চিকিৎসা চলছে। বাসচালকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
রাজৈর উপজেলার মস্তফাপুর হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক এম রুহুল আমিন বলেন, যাত্রীবাহী বাসটি দ্রুতগতিতে চলছিল। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসচালক ভ্যানের পেছনে ধাক্কা দিলে দুর্ঘটনাটি ঘটে। বাসটি জব্দ করা হয়েছে। তবে চালক পালিয়ে গেছেন। তাঁকে আটক করতে অভিযান চলছে।