পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সৈদরটুলা ছান্দের (মহল্লা) সরদার নির্বাচন নিয়ে উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল বাহার খান ও বানিয়াচং উত্তর-পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হায়দারুজ্জামান খান ওরফে ধন মিয়ার মধ্যে বিরোধ চলছিল। গতকাল বুধবার ইকবাল বাহার খান ও তাঁর লোকজন নজরুল ইসলাম নামের একজনকে ছান্দের (মহল্লা) সরদার নির্বাচিত করে। এতে হায়দারুজ্জামান খান ক্ষুব্ধ হন। এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিলে আজ দুপুরে উভয় পক্ষের লোকজন দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলে।
সংঘর্ষের সময় ইকবাল বাহার খান ও হায়দারুজ্জামান খান ঘটনাস্থলে ছিলেন বলে জানা গেছে। এ সময় হায়দারুজ্জামান খান বন্দুক দিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর একাধিক গুলি ছুড়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন প্রতিপক্ষের লোকজন।
এদিকে সংঘর্ষের খবর পেয়ে বানিয়াচং থানা–পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাঁদানে গ্যাস ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ১৬ জনকে আটক করা হয়। সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিরা বানিয়াচং ও হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরান হোসেন বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে গিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে বলে জানা গেছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই এলাকায় এখন পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১৬ জনকে অটক করা হয়েছে।
হায়দারুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে গুলি ছোড়ার অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে ওসি বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান গুলি ছুঁড়ে থাকলে, তা তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।