বান্দরবানে জনসংহতি সমিতির নেতাকে অপহরণের পর হত্যা
বান্দরবানে অপহৃত জনসংহতি সমিতির (জেএসএস-মূল দল) নেতা পুশৈ থোয়াই মারমার লাশ আজ সোমবার সকাল ৯টার দিকে পাওয়া গেছে। তাঁকে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় ডলুপাড়া থেকে একদল অস্ত্রধারী অপহরণ করেছিল। পাড়াবাসী খোঁজাখুঁজি করে বান্দরবান-চন্দ্রঘোনা-রাঙামাটি সড়কের আমতলিপাড়ার অদূরে তাঁর লাশ পেয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে একদল অস্ত্রধারী ডলুপাড়ায় আসে। তারা পাড়ার কার্বারি থোয়াইসাই হ্রী মারমার বাড়িতে গিয়ে জেএসএসের উপজেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক পুশৈ থোয়াই মারমাকে খুঁজতে থাকে। এ সময় পুশৈ থোয়াই মারমা কার্বারির বাড়িতে ছিলেন। সেখানে তাঁকে পেয়ে অস্ত্রের মুখে মোটরসাইকেলে করে তুলে নিয়ে যায়। পুশৈ থোয়াই জেএসএসের উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক হলেও দীর্ঘদিন ধরে নিষ্ক্রিয় রয়েছেন বলে জানা যায়। তাঁকে অপহরণের পর ডলুপাড়ার পার্শ্ববর্তী আমতলিপাড়ার লোকজন রাতে তাঁদের পাড়ার কাছাকাছি বেশ কয়েকটি গুলির শব্দ শুনতে পান। ডলুপাড়াটি জেলা শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে বান্দরবান সদর উপজেলার কুহালং ইউনিয়নে বান্দরবান-চন্দ্রঘোনা-রাঙামাটি সড়কে অবস্থিত। একই সড়কে ডলুপাড়া থেকে আমতলিপাড়ার দূরত্ব দুই কিলোমিটার।
আমতলিপাড়ার কার্বারি আথোয়াইমং মারমা জানিয়েছেন, রাতে যেদিকে গুলির শব্দ শোনা গেছে, সেদিকে তাঁরা সকালে খোঁজাখুঁজি করে পুশৈ থোয়াই মারমার লাশ মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় খুঁজে পেয়েছেন। কে বা কারা তাঁকে অপহরণ করে হত্যা করেছে, তা তিনি জানাতে পারেননি। তবে এলাকাবাসী তাঁকে বলেছেন, মগ পার্টির নামধারী সন্ত্রাসীরা এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে।
বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, পুশৈ থোয়াই মারমার লাশ পাওয়া গেছে। অপহরণের বিষয়টি তাঁরা গতকাল রাত ১১টার দিকে শুনেছেন। তবে কারা তাঁকে অপহরণ করেছে, তা পুলিশ জানতে পারেনি।