নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম মাসদাইর এলাকায় ফ্ল্যাটে সিলিন্ডার থেকে গ্যাস লিকেজ হয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। ওই ঘটনায় দগ্ধ দেড় বছরের শিশু মিনহাজ আজ শুক্রবার সকালে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইনস্টিটিউটে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এ নিয়ে এ বিস্ফোরণের ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হলো।
মিনহাজ একই ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত মো. মিশালের ছেলে। এদিকে বার্ন ইউনিটে এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন নিহত মিশালের স্ত্রী মিতা আক্তার (২৩), মেয়ে আফসানা আক্তার (৩) ও স্ত্রীর খালাতো ভাই সাব্বির হোসেন (১৫)। এর মধ্যে সাব্বিরের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন তাঁর স্বজনেরা।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশের পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া প্রথম আলোকে জানান, আগুনে দগ্ধ শিশু মিনহাজ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। তার শরীরের অধিকাংশ পুড়ে গিয়েছিল। মিশালের শ্বশুর শহীদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, অগ্নিদগ্ধ তাঁর দেড় বছরের নাতি মিনহাজ আজ সকাল ১০টার দিকে মারা গেছে। তার লাশ দাফনের জন্য নারায়ণগঞ্জে আনা হচ্ছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ব্যক্তিদের মধ্যে তাঁর ভায়রার ছেলে সাব্বিরের অবস্থা সংকটাপন্ন। তাঁর মেয়ে মিতা আক্তারের অবস্থাও ভালো না বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
গত সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে শহরের পশ্চিম মাসদাইর এলাকায় হাজী ভিলার ছয়তলার ফ্ল্যাটে বিকট শব্দে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হয়। বিস্ফোরণে ওই ঘরের দরজা-জানালার কাচ ভেঙে গেছে এবং ঘরের আসবাবসহ বিভিন্ন মালামাল পুড়ে যায়। দগ্ধ ব্যক্তিদের উদ্ধার করে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন মঙ্গলবার মো. মিশাল মারা যান। গতকাল বৃহস্পতিবার মারা যান মিশালের চাচাতো ভাই মাহফুজ।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, গ্যাস সিলিন্ডারের মুখ থেকে গ্যাস লিকেজ হয়ে পুরো গ্যাস ঘরে জমেছিল। বিদ্যুতের স্পার্ক অথবা মশার কয়েল জ্বালাতে গিয়ে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।