বালুচরে মিলল ৪০ কেজি ওজনের কচ্ছপ
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার গঙ্গামতি সৈকতসংলগ্ন চর গঙ্গামতি এলাকার বালুচর থেকে প্রায় ৪০ কেজি ওজনের একটি কচ্ছপ জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ শনিবার সকাল আটটার দিকে কচ্ছপটি উদ্ধার করা হয়। দুপুর ১২টার দিকে বন বিভাগ, কুয়াকাটা সৈকতের ব্লু-গার্ড সদস্য এবং স্থানীয় জেলেদের উপস্থিতিতে কচ্ছপটি আবার কুয়াকাটাসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে অবমুক্ত করা হয়েছে।
উপকূলের জীববৈচিত্র্য রক্ষা, পরিবেশ-প্রতিবেশ, মৎস্য ব্যবস্থাপনা ও সমুদ্রের নীল অর্থনীতি নিয়ে কাজ করা গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড ফিসের ইকো ফিশ-২–এর পটুয়াখালী জেলার সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি বলেন, গঙ্গামতি সৈকতের বালুচরে একটি মাছ ধরা জাল দিয়ে কচ্ছপটি ঢেকে রাখা ছিল। শাহদাত হোসেন নামে স্থানীয় এক জেলে প্রথমে এটি দেখতে পান। এরপর তিনি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ব্লু-গার্ডের সদস্যদের জানান। ব্লু-গার্ডের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কচ্ছপটি উদ্ধার করেন। তিনি আরও বলেন, হয়তো ডিম পাড়ার জন্য কচ্ছপটি সাগরবক্ষ থেকে সৈকতের কাছাকাছি চলে এসেছিল। এ সময় জেলেদের জালে এটি আটকা পড়ে। উদ্ধার করার সময় কচ্ছপটি পুরোপুরি সুস্থ ছিল। এর ওজন হবে আনুমানিক ৪০ কেজি।
বরিশালের মৎস্য অধিদপ্তরের সাসটেইনাবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক মো. কামরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, কচ্ছপের অবয়ব, শরীরের আকৃতি, ক্যারাপেসের গড়ন, লেজের আকৃতি ও রং দেখে ধারণা করা যায়, এটি ওলিভ রেডলি প্রজাতির কচ্ছপ। এর বৈজ্ঞানিক নাম লিপিডোসিলাস ওলিভেসা। এর শরীর বা ক্যারাপেস গোলাকার আকৃতির হওয়ায় এটা ‘মা ওলিভ রেডলি কচ্ছপ’ বলে মনে হয়। বাংলাদেশের বাইরে এরা উষ্ণ মণ্ডলীয় প্রশান্ত ও ভারত মহাসাগরে বসবাস করে। উষ্ণ আটলান্টিক মহাসাগরেও এদের দেখা মেলে। এরা সাধারণত সাগরের অগভীর অঞ্চলের ২২-২৫ মিটার গভীরতায় এবং উপকূল রেখা থেকে ১৫-২০ কিলোমিটার গভীরতায় যাতায়াত করে থাকে। সর্বোচ্চ ৫০ কেজি পর্যন্ত এদের ওজন হয়।
পটুয়াখালী বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) আবদুল্লাহ আল মামুন প্রথম আলোকে বলেন, কচ্ছপটি ইতিমধ্যে সাগরবক্ষে অবমুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।