বাল্যবিবাহ
প্রতীকী ছবি

বর মাইনুল মোল্লা (৩৫) এসেছিলেন মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার চর পাঙ্গাশিয়া গ্রাম থেকে। সঙ্গে ছিল বরযাত্রী। পাত্রী দশম শ্রেণির ছাত্রী (১৭)। এর মধ্যে খবর পেয়ে যান প্রশাসনের লোকজন। তাঁদের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহের হাত থেকে রক্ষা পান ওই কিশোরী। আজ শুক্রবার বেলা তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মেয়েটির বাড়িও একই উপজেলায়।

স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিয়ের আয়োজনের আগে কিশোরীর বাড়িতে বরযাত্রীরা খাওয়া-দাওয়া করেন। খাওয়া–দাওয়ার পর বিয়ে পড়ানোর কথা। এ খবর শুনে ওই কিশোরীর বাড়িতে ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়ে হাজির হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানজিলা কবির। তাঁর সঙ্গে ছিলেন উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা শারমিন আক্তার।

মেয়েটির বিয়ের বয়স হয়নি জানার পর আদালত এ বিয়ে বন্ধ করে দেন। ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত ওই কিশোরীর বিয়ের আয়োজন করবে না মর্মে বর মাইনুল মোল্লা, বরের অভিভাবক কোহিনূর হোসেন ও মেয়ের বাবার কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়।

ইউএনও তানজিলা কবির বলেন, কিশোরীর বাবা স্ট্রোকজনিত কারণে শয্যাশায়ী। ফলে আদালত মানবিক দিক বিবেচনা করে তাঁকে শাস্তি দেননি। ওই এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে উভয় পক্ষের মুচলেকা নিয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়। বিষয়টি দেখভাল করার জন্য ওই এলাকার বাসিন্দা এক প্রকৌশলীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।