বাসচাপায় নিহত দুর্জয় শায়িত হবে নানা-নানির কবরের পাশে
ঢাকার রামপুরায় বাসচাপায় নিহত শিক্ষার্থী মাইনুদ্দিন ইসলাম দুর্জয়ের লাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে দাফন করা হবে। উপজেলার বৈকালবাজার হাটখোলা জামে মসজিদ-সংলগ্ন কবরস্থানে দুর্জয়ের নানা-নানির কবরের পাশেই দুর্জয়ের জন্য কবর খোঁড়া হয়েছে।
গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রামপুরায় রাস্তা পার হওয়ার সময় দুটি বাসের প্রতিযোগিতায় চাপা পড়ে নিহত হয় মাইনুদ্দিন ইসলাম দুর্জয়। সে এ বছর একরামুন্নেছা স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।
দুর্জয়ের বাবা আবদুর রহমান রামপুরায় একটি চায়ের দোকান চালান। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে দুর্জয় সবার ছোট। পরিবারে আর্থিক অনটন থাকায় পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে বাবার সঙ্গে চায়ের দোকানে বসত সে। তাদের গ্রামের বাড়ি সরাইলের হালুয়াপাড়া গ্রামে।
দুর্জয়ের খালাতো ভাই খোরশেদ আলম প্রথম আলোকে জানান, প্রায় ১৬–১৭ বছর আগে আবদুর রহমান গ্রামের সব জমি বিক্রি করে ঢাকায় চলে যান। তবে কয়েক বছর আগে হালুয়াপাড়া গ্রামে আবার দুই শতাংশ জমি কিনেছেন আবদুর রহমান। দুর্জয় ও তার পরিবারের লোকজন ঢাকা থেকে সরাইলে আসলে তাঁদের বাড়িতেই বেশি থাকতেন। তাই এখন নানা-নানির কবরের পাশেই দুর্জয়ের লাশ দাফনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে হালুয়াপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, দুর্জয়ের স্বজনেরা বিলাপ করছেন। সড়ক দুর্ঘটনায় মেধাবী দুর্জয়ের অকাল মৃত্যুতে গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আজ রাতে এশার নামাজের পর হাটখোলা জামে মসজিদে তার দ্বিতীয় জানাজা হবে। পরে ওই মসজিদ–সংলগ্ন কবরস্থানে দাফন করা হবে। এর আগে রামপুরা তিতাস রোডে গনিবাগ জামে মসজিদ মাঠে তার প্রথম জানাজা হয়েছে।
এদিকে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, দুর্জয়ের মৃত্যুর পর ঢাকায় কয়েকটি বাসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছেন বিক্ষুব্ধ জনতা। তবে সেখানে যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এখানে কোনো বিচ্ছৃঙ্খলা হবে না বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।