বাসচালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে হাটহাজারীতে সড়ক অবরোধ

চট্টগ্রাম জেলার মানচিত্র

চট্টগ্রামের রাউজানের এক বাসচালককে মারধর করে হত্যার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে বাস মালিক সমিতির নেতা, পরিবহন চালক ও শ্রমিক সমিতির সদস্যরা। আজ শনিবার সকাল থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত উপজেলার হাটহাজারী সদরের বাসস্টেশন এলাকায় চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়ক মোড়ে অবরোধ করেন তাঁরা। বেলা ১১টার দিকে অবরোধ তুলে নেওয়া হলেও ওই দুই সড়কের গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রেখেছে মালিক ও চালক সমিতি।

এ কারণে সকাল থেকে ওই সড়কে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর আগে বেলা ১১টা পর্যন্ত সব ধরনের গাড়ি চলাচল বন্ধ ছিল। আন্দোলনে শত শত পরিবহনশ্রমিক অংশ নেন। এ সময় দুটি মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট লেগে দুর্ভোগে পড়ে শত শত যানবাহনের হাজারো যাত্রী।

চালক ও মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার রাত আটটার দিকে নগরীর পাঁচলাইশ থানার আমিন জুটমিল এলাকায় হাটহাজারী ও নগরীর নিউমার্কেট এলাকায় চলাচলরত দ্রুতযান বাস সার্ভিসের চালক আবদুর রহিমকে (৪৫) নামিয়ে পেটানো হয়। আমিন জুটমিল ১ নম্বর গেট এলাকায় একটি মাইক্রোবাসকে সাইড না দেওয়ায় ওই চালককে বেধড়ক মারধর করে মাইক্রোবাসটির যাত্রীরা। পরে চালককে বাসের অন্য যাত্রীরা উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবদুর রহিমের মৃত্যু হয়।
নিহত আবদুর রহিমের বাড়ি রাউজান উপজেলার গহিরা ইউনিয়নের আতুরনীর ঘাটা এলাকায়।

বেলা ১১টার দিকে অবরোধ তুলে নেওয়া হলেও ওই দুই সড়কের গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রেখেছে মালিক ও চালক সমিতি। আন্দোলনে শত শত পরিবহনশ্রমিক অংশ নেন।

এ ঘটনার জেরে আজ ভোর থেকে হাটহাজারী বাসস্টেশনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন পরিবহনশ্রমিকেরা। এ সময় তাঁরা কোনো গাড়ি ছেড়ে যেতে দেয়নি। হাটহাজারী পুলিশ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাদাত হোসাইন ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে এসে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের গ্রেপ্তারের নিশ্চয়তা দিলে তাঁরা অবরোধ তুলে নেন। তবে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রাখেন আন্দোলনকারীরা।

চট্টগ্রাম পরিবহন মালিক গ্রুপের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহজাহান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের এক চালক ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা তাঁর হত্যার বিচার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছি। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে তাঁদের গ্রেপ্তার করে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় আরও কঠোর আন্দোলনে যেতে আমরা বাধ্য হব।’