মায়িশা মাহজাবিন গতকাল শুক্রবার সকালে ঢাকার কল্যাণপুর বাস কাউন্টারে এসে জানতে পারেন ১১টার বাস ১২ ঘণ্টা পরে ছাড়বে। ১২ ঘণ্টা পরে গিয়ে দেখেন ফিরতি গাড়ি কাউন্টারেই পৌঁছায়নি। পরে বাধ্য হয়ে বাসযাত্রা বাতিল করে ১১ জন মিলে একটি মাইক্রো ভাড়া করেন।
মায়িশা আজ শনিবার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে মুঠোফোনে জানান, রাত সাড়ে তিনটা থেকে সকাল সোয়া আটটা পর্যন্ত টাঙ্গাইলের একই জায়গায় তাঁদের মাইক্রোবাস দাঁড়িয়েছিল। সেখান থেকে পাঁচ মিনিট চলার পরে আবার দাঁড়িয়ে যায়। বেলা সোয়া চারটার দিকে মায়িশাদের বহনকারী মাইক্রো বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপরে ছিল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মায়িশার বাড়ি রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায়। শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি সুফিয়া কামাল হল থেকে বাস ধরার উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলেন। মায়িশা বলেন, বাসের কোনো ভরসা না পেয়ে তিনিসহ ১১ জন মিলে একটি মাইক্রোবাস ঠিক করেন। জনপ্রতি ভাড়া পড়েছে ২ হাজার ২০০ টাকা। সেই মাইক্রোবাস শুক্রবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে টাঙ্গাইলের করোটিয়া এলাকায় এসে যানজটে আটকা পড়ে।
মায়িশা বলেন, গত বুধবার বিভাগের পরীক্ষা ছিল। বাড়ি ফেরার জন্য সেদিন থেকেই টিকিটের চেষ্টা করেন। ট্রেনে না পেয়ে বাসের টিকিট পান শুক্রবার বেলা ১১টার। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে হল থেকে বের হন । আসাদ গেটে এসে যানজটে পড়েন। কলেজ গেট থেকে হেঁটে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে কল্যাণপুরে এসে দেখেন বৃহস্পতিবার রাত ১১টার বাসের যাত্রীরাও বাসের অপেক্ষায় বসে আছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মালিহা বিনতে আলীও কবি সুফিয়া কামাল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। তাঁর বাড়িও রাজশাহী শহরে। বাড়ি ফেরার বাস ছিল শুক্রবার রাত ১০টায় । কাউন্টারে এসে জানতে পারেন, তখনো তাঁদের বাস নাটোরে। আজ শনিবার সকালে সেই বাস ঢাকায় পৌঁছায়। সকাল সোয়া আটটার দিকে বাসে ওঠেন মালিহা। যানজটের কারণে গন্তব্যে পৌঁছাতে কতক্ষণ লাগতে পারে, সে অনিশ্চয়তা নিয়েই যাত্রা শুরু করেন বাড়ির উদ্দেশে।