বিজয়ী ইউপি সদস্য প্রার্থীর বাড়িতে হামলা, চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ গ্রেপ্তার ৯
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের উচাখিলা ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজয়ী সদস্য প্রার্থী মো. আবুল বাশার ও তাঁর সমর্থকদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে এক চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সূত্র জানায়, ইউপি সদস্য প্রার্থী আবুল বাশার ও তাঁর সমর্থকদের বাড়ি হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে উচাখিলা ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. নজরুল ইসলাম রয়েছেন। তিনি এখন থানাহাজতে আছেন।
মরিচারচর মাইজপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আবদুল হেকিম বলেন, ‘উচাখিলা ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সদস্য পদে প্রার্থী হয়েছিলেন মরিচারচর মাইজপাড়া গ্রামের মো. আবুল বাশার। অন্যদিকে পাশের মলামারি গ্রাম থেকে প্রার্থী ছিলেন মো. লিটন মিয়া, মফিজ উদ্দিন ও ফাখরুল ইসলাম। নির্বাচনে আবুল বাশার বিজয়ী হন। এ কারণে পরাজিত প্রার্থীদের সমর্থকেরা মঙ্গলবার আমাদের গ্রামে হামলা চালিয়েছেন।’
এ বিষয়ে মলামারী গ্রামের জুবায়ের হোসেন বলেন, পাশের মলামারী গ্রাম থেকে শতাধিক লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে হঠাৎ করে তাঁদের গ্রামে হামলা চালান। তাঁরা তাঁদের ঘর থেকে মূল্যবান মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যান। এ ছাড়া গ্রামবাসীর ১৭টি খড়ের গাদায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আবদুল মজিদ নামের এক কৃষকের একটি গরু পিটিয়ে মারা হয়। অনেকের খাসি লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামের ছয়জন বাসিন্দা বলেন, ‘চেয়ারম্যান প্রার্থী নজরুল ইসলামের প্রত্যক্ষ ইন্ধন না থাকলে পাশের গ্রাম থেকে লোকজন আমাদের গ্রামে প্রবেশ করে হামলা চালাতে সাহস পেত না।’
তবে ওই গ্রামে হামলা চালানোর অভিযোগের বিষয়ে মঙ্গলবার নজরুল ইসলাম বলেছিলেন, তিনি নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। মারামারি করেছেন সদস্য প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থকেরা। এ ঘটনার সঙ্গে তাঁর কোনো যোগসাজশ নেই।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল কাদের মিয়া বুধবার রাত সাড়ে আটটার বলেন, আবুল বাশার বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। তাঁর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে। আপাতত এর চেয়ে বেশি কিছু বলা এখন সম্ভব নয়।