বিজয়ী ও পরাজিত সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ১১
পিরোজপুরে ইন্দুরকানি উপজেলার চণ্ডীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন–পরবর্তী সংঘর্ষে ১১ জন আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার তালুকদারহাট বাজারে দুই ইউপি সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার চণ্ডীপুর ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পরাজিত সদস্য প্রার্থী শাজাহান হাওলাদার (৫০), তাঁর ভাই শামসুল হক হাওলাদার (৫৮), শামসুলের ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৮), শাজাহানের কর্মী সুলতান হাওলাদার (৫৫), তাঁর ছেলে রুবেল হাওলাদার (২৮), মধ্য কলারণ গ্রামের আনিসুর রহমান (৩২); বিজয়ী প্রার্থী শাহাদাৎ তালুকদারের ভাইয়ের ছেলে সবুজ তালুকদার (৩৪) ও মাসুদ তালুকদার (৩০), কর্মী নূর জাহান বেগম (৫৫), ফারুক হাওলাদার (৫৭) ও ফারুকের ছেলে সোহাগ হাওলাদার (২৫)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার সপ্তম ধাপে চণ্ডীপুর ইউপির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদে শাজাহান হাওলাদার ও শাহাদাৎ তালুকদার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে শাহাদাৎ তালুকদার জয়ী হন। নির্বাচনের পরদিন এই দুই প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে দুই পক্ষের ১১ জন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের পিরোজপুর সদর হাসপাতাল ও বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। খরর পেয়ে ইন্দুরকানি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান ও পিরোজপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খায়রুল হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচজনের মাথায় আঘাতের চিহ্ন আছে। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি নেওয়া হয়েছে।
পরাজিত প্রার্থী শাজাহান হাওলাদারের সমর্থক রুবেল হাওলাদার বলেন, ‘আমরা কয়েকজন বিকেলে তালুকদারহাট বাজারে যাই। সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ করে বিজয়ী ইউপি সদস্য প্রার্থী শাহাদাৎ তালুকদার তার লোকজন নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। তার বিরুদ্ধে গিয়ে পরাজিত প্রার্থী শাহজাহান হাওলাদারের পক্ষে নির্বাচন করার জন্য এই হামলা করা হয়।’
এ বিষয়ে বিজয়ী ইউপি সদস্য প্রার্থী শাহাদাৎ তালুকদার বলেন, ‘পারিবারিক বিরোধের জেরে শাজাহানের কর্মী সুলতান হাওলাদারের সঙ্গে আমার কর্মী ফারুক হাওলাদারের মারামারি হয়। এ ঘটনায় আমার ও আমাদের প্রতিপক্ষের লোকজন জড়িয়ে পড়েন।’ এ বিষয়ে কথা বলার জন্য শাজাহান হাওলাদারের মুঠোফোন কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
নির্বাচন–পরবর্তী দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বলে জানান ইন্দুরকানি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, এ ঘটনায় কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।