বিমানযাত্রীর ব্যাগে প্যাঁচানো ছিল ১ কেজি ১৬০ গ্রাম রং করা সোনার পাতের ফিতা

আজ সকালে মঈনুল ইসলাম আবুধাবি থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সিলেট বিমানবন্দরে অবতরণ করেন
ছবি: প্রথম আলো

সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পাঁচ দিনের ব্যবধানে সোনার চালানসহ আবার এক ব্যক্তিকে আটক করেছে বিমানবন্দরের কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাঁকে আটক করা হয়। আজ সকালে ওই ব্যক্তি আবুধাবি থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সিলেট বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।

আটক ওই ব্যক্তির নাম মঈনুল ইসলাম (২২)। তিনি সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে। তাঁর কাছ থেকে ১ কেজি ১৬০ গ্রাম ওজনের ফিতা আকারের তৈরি স্বর্ণের বিশেষ পাত উদ্ধার করা হয়েছে। ওই পাতের ওপর রং করা ছিল।

এর আগে ২৭ মে একই বিমানবন্দরে দুবাই থেকে আসা একটি ফ্লাইটে আলী আহমদ নামের এক যাত্রীর কাছ থেকে একই ওজনের স্বর্ণ জব্দ করা হয়েছিল। ওই ব্যক্তি নেবুলাইজার মেশিনের ভেতরে স্বর্ণ চোরাচালানের চেষ্টা করেছিলেন বলে জানিয়েছিল কাস্টম কর্তৃপক্ষ।

ওসমানী বিমানবন্দরের কাস্টমস রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নাজ্জাসী পারভেজ বলেন, আবুধাবি থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিলেট বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এ সময় ৬৯ যাত্রী সিলেট বিমানবন্দরে নামেন। তাঁদের মধ্যে মঈনুল ইসলামও ছিলেন। কাস্টম কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের লাগেজ তল্লাশি করতে গিয়ে মঈনুল ইসলামের ব্যাগ দেখে সন্দেহ হয়। এ সময় তাঁর ব্যাগে বিশেষ কায়দায় প্যাঁচানো পাতটি খুলে অধিকতর তল্লাশি করা হলে সেটি স্বর্ণের বলে শনাক্ত হয়।

ফিতা আকারের তৈরি স্বর্ণের বিশেষ পাতের রং পরিবর্তন করা হয়েছে
ছবি: প্রথম আলো

মো. নাজ্জাসী বলেন, বিশেষ কায়দায় সোনার পাত ফিতা আকারে ব্যাগে প্যাঁচানো ছিল। যেন সন্দেহের সৃষ্টি না হয়, সে জন্য সেটি রং করা ছিল। উদ্ধার হওয়া সোনা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হবে। পাশাপাশি ওই ব্যক্তিকে সিলেট বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তর করা হবে।