ভোলায় জমিতে ধান কাটা নিয়ে বাগ্বিতণ্ডা, কৃষককে পিটিয়ে হত্যা
ভোলায় ধান কাটা নিয়ে বিরোধের জেরে মো. রুহুল আমিন (৫৫) নামের এক কৃষককে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের দাইয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিকেলে মুমূর্ষু অবস্থায় রুহুল আমিনকে ভোলা সদর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সন্ধ্যা পাঁচটার দিকে তিনি মারা যান। ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ভোলা ২৫০ শয্যা (সদর) হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) নিরুপম সরকার জানান, বিকেল সাড়ে চারটার দিকে মো. রুহুল আমিনকে রক্তাক্ত অবস্থায় ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর হাত, পা ও মাথায় একাধিক আঘাতের দাগ ছিল। মাথায় আঘাতের কারণে বারবার বমি হচ্ছিল। সন্ধ্যা ৫টা ৩ মিনিটে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
বেলা একটার দিকে আবুল কাশেম চৌকিদার, তাঁর স্ত্রী, ছেলেসহ সাত–আটজন লাঠিসোঁটা নিয়ে রুহুল আমিনকে পিটিয়ে জখম করেন। এ সময় সন্তানেরা এগিয়ে এসেও রুহুল আমিনকে রক্ষা করতে পারেননি।
পুলিশ ও রাজাপুর ইউপির ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আবু আলম হাওলাদার জানান, দাইয়া গ্রামে গুলগইল্যাবাজার এলাকায় মো. রুহুল আমিনের সঙ্গে আবুল কাশেম চৌকিদারের জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। আবুল কাশেম চৌকিদার রুহুল আমিনের দূরসম্পর্কের আত্মীয়। বিরোধপূর্ণ জমিতে মো. রুহুল আমিন আমন ধান লাগান। সেই ধান পাকলে রুহুল আমিন লোকজন নিয়ে মঙ্গলবার সকালে কাটতে যান। এ সময় আবুল কাশেম চৌকিদার ধান কাটতে মানা করলেও রুহুল আমিন শোনেননি। এ অবস্থায় বেলা একটার দিকে আবুল কাশেম চৌকিদার, তাঁর স্ত্রী, ছেলেসহ সাত–আটজন লাঠিসোঁটা নিয়ে রুহুল আমিনকে পিটিয়ে জখম করেন। এ সময় সন্তানেরা এগিয়ে এসেও রুহুল আমিনকে রক্ষা করতে পারেননি।
স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, দাইয়া গ্রামে বর্তমানে পুলিশ অবস্থান করছে।
থানার ওসি এনায়েত হোসেন বলেন, নিহত রুহুল আমিনের পরিবার মৌখিকভাবে অভিযোগ জানিয়েছে। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।