বিয়ের আসর থেকে কনে অপহরণের চেষ্টায় মামলা

প্রতীকী ছবি

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে কনে অপহরণের চেষ্টার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। অপহরণের চেষ্টার সময় আটক এক সেনাসদস্য ও তাঁর সহযোগীকে আসামি করে শুক্রবার রাতে কনের বাবা খবির উদ্দীন বাদী হয়ে ধুনট থানায় মামলাটি করেন।

পরে পুলিশ রাতেই আটক ওই সেনাসদস্যকে বগুড়া ক্যান্টনমেন্টের সেনা কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করে। আর তাঁর সহযোগীকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে উপজেলার চিকাশি ইউনিয়নের জোড়শিমুল গ্রামে কনে অপহরণের চেষ্টার ঘটনা ঘটে।

ওই মামলার দুই আসামি হলেন বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার রহিমাবাদ গ্রামের সেনাসদস্য ইমরান হোসেন তালুকদার (২৩) ও তাঁর সহযোগী সাদমান আলীম (২৪)।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্র জানায়, জোড়শিমুল গ্রামের খবির উদ্দিনের মেয়ে সুমিতা খাতুনের (১৮) শুক্রবার বেলা দুইটার দিকে শাজাহানপুর উপজেলার লতিফপুর এলাকার সামিউল মান্নানের (২৫) সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়েবাড়িতে ধুমধাম চলছিল। এ সময় ইমরান ও তাঁর সহযোগী সাদমান বিয়েবাড়িতে পৌঁছে কনে অপহরণের চেষ্টা করেন। কনের মামাতো ভাই মেহেদী হাসান (২৯) বাধা দিলে অপহরণের চেষ্টাকারীরা তাঁকে ছুরি মেরে পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় বিয়েবাড়ির লোকজন ধাওয়া করে অপহরণের চেষ্টাকারী ইমরান ও তাঁর সহযোগী সাদমানকে আটকের পর গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। আহত মেহেদী হাসানকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে থানাহাজতে আটক থাকা অবস্থায় সেনাসদস্য ইমরান হোসেন তালুকদার বলেন, ‘কনে তাঁর পূর্বপরিচিত। তাই আমরা তাঁকে দেখতে বিয়েবাড়িতে এসেছিলাম। তাঁকে কোনো অপহরণের চেষ্টা করা হয়নি। মিথ্যা অভিযোগে আমাদের মারধর করা হয়েছে। পালাতে গিয়ে ধস্তাধস্তির সময় একজন আহত হয়েছেন। তাঁকে কেউ ছুরিকাঘাত করেনি।’

ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, কনের বাবার করা মামলার আসামি সেনাসদস্যকে সেনা কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আর অন্যজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।