বিয়ের মাত্র তিন মাসের মাথায় লাশ হলেন রাজশাহীর বাগমারার গৃহবধূ জলি আক্তার (২৭)। তাঁকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আটক করেছে জলির স্বামী আবদুল হান্নানকে (২৯)।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গোবিন্দপাড়ার তলোহারা গ্রামে। আটক আবদুল হান্নান মোবাইলের মেকানিক। পুলিশ ও স্থানীয় ব্যক্তিদের কাছ থেকে জানা গেছে, বিয়ের পর থেকে পারিবারিক বিষয় নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয় দুজনের মধ্যে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে জলিকে মারধর করা হয়। আজ শুক্রবার সকালে জলি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রচার করা হয়।
খবর পেয়ে জলির স্বজনেরা স্থানীয় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গৃহবধূ জলি আক্তারের লাশ ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকা অবস্থায় দেখতে পায়। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নেওয়া হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে।
জলির বাবা আবদুল জলিল অভিযোগ করেন, তাঁর মেয়েকে মারধর করে হত্যা করা হয়েছে। পরে তা আত্মহত্যা বলে প্রচারের চেষ্টা চালানো হয়।
হাটগাঙ্গোপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও পরিদর্শক মিজানুর রহমান বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। পুলিশ গৃহবধূ হত্যার অভিযোগে স্বামীকে আটক করেছে।
আজ বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে বাগমারা থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, এই ঘটনায় নিয়মিত মামলা হবে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।