বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবাকে কুপিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করে ছেলের জবানবন্দি
সিগারেট কেনার জন্য টাকা চেয়ে না পাওয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবাকে হত্যা করেছেন ছেলে। এ ঘটনায় হওয়া হত্যা মামলায় আসামি ছেলে জসিম উদ্দিন আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ কথা বলেছেন। তিনি আজ শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে সিলেটের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা ইয়াসমিনের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেটের বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায়।
নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল আজিজের (৬৭) বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজারের মুড়িয়া ইউনিয়নের তাজপুর গ্রামে। শুক্রবার দুপুরে তাঁর মরদেহ সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পুলিশ সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল আজিজের কাছে সিগারেট কেনার টাকা চান ছেলে জসিম উদ্দিন (৩৮)। এ সময় আবদুল আজিজ টাকা দিতে রাজি হননি। পরে মায়ের কাছে গিয়ে চাল চান জসিম। মা চাল দিতে রাজি না হওয়া বাবার সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা হয় তাঁর। একপর্যায়ে কুড়াল দিয়ে বাবা আজিজের মাথায় কোপ দিয়ে পালিয়ে যান জসিম। পরিবারের লোকজন আবদুল আজিজকে উদ্ধার করে প্রথমে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল আজিজকে হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে বিয়ানীবাজার উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের ভারত সীমান্তসংলগ্ন সারোপাড় এলাকা থেকে জসিম উদ্দিনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল আজিজের দ্বিতীয় স্ত্রী বাদী হয়ে আজ জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
এ বিষয়ে বিয়ানীবাজার থানার ওসি হিল্লোল রায় বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবাকে হত্যার অভিযোগে ছেলে জসিম উদ্দিনকে বৃহস্পতিবার রাতেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বিকেলে জসিমকে আদালতে নিয়ে গেলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে আদালতের বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।