বেগমগঞ্জে মাথায় কিশোরের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয় লোকজনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রোববার বেলা ১১টার দিকে বেগমগঞ্জ থানার পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
নিহত কিশোরের নাম মো. রাশেদ (১৭)। সে উপজেলার আলাইয়াপুর গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে। সে পেশায় নির্মাণশ্রমিক ছিল।
তাজুল ইসলাম জানান, তাঁর ছেলে ঢাকায় নির্মাণশ্রমিকের কাজ করত। কয়েক দিন আগে রাতের বেলায় চোখে টর্চলাইটের আলো পড়াকে কেন্দ্র করে একই এলাকার মো. রুবেলের (২০) সঙ্গে তাঁর ছেলের ঝগড়া হয়। এ ঘটনার জের ধরে রুবেলের সহযোগীরা রাশেদকে মারধর করেন। ওই ঘটনায় তিনি থানায় একটি অভিযোগ করেন। তিনি জানান, থানায় দায়ের করা অভিযোগ তদন্তে এলাকায় পুলিশ এলে হামলাকারীরা আরও ক্ষিপ্ত হন। তাঁরা তাঁদের সবাইকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। অভিযুক্ত আসামি রুবেল ও তাঁর সহযোগী শাকিলসহ কয়েকজন তাঁর ভাই লোকমানের দোকানে গিয়েও নানা হুমকিধমকি দেন।
তাজুল ইসলামের ভাষ্য, শনিবার রাতে তাঁর ছেলে স্থানীয় রমনীরহাটে যায়। সেখান থেকে রাত ১০টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হয়। রোববার সকালে বাড়ি থেকে আনুমানিক এক কিলোমিটার দূরে একই গ্রামের সীমান্তবর্তী একটি বাড়ির বাগানে তাঁর ছেলের গুলিবিদ্ধ লাশ পড়ে থাকতে দেখেন আশপাশের লোকজন। পরে তাঁকে খবর দেওয়া হলে তিনি সেখানে গিয়ে ছেলের গুলিবিদ্ধ লাশ দেখতে পান।
তাজুল ইসলাম অভিযোগ করেন, রুবেল ও তাঁর সহযোগীরা তাঁর ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে শ্বাস রোধ করে এবং মাথায় গুলি করে হত্যা করেছেন। তিনি এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
খবর পেয়ে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম দুপুরের দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি ঘটনা তদন্ত করে বেগমগঞ্জ থানা-পুলিশকে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ কামরুজ্জামান সিকদার মাথায় গুলি করে রাশেদকে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, মাথায় গুলি করা ছাড়াও ওই কিশোরের গলায় একটি কালো দাগ দেখা গেছে। ঘটনার বিষয়ে নানা রকম তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।