ব্যঙ্গ–বিদ্রূপে ঝাউবন কাটার অভিনব প্রতিবাদ শিক্ষার্থীদের

পটুয়াখালী পৌর শহরের সড়ক উন্নয়নে ঝাউগাছ কাটার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা আজ রোববার মানববন্ধন করেন
ছবি: প্রথম আলো

পটুয়াখালী পৌর শহরের সড়ক উন্নয়নে বেশ কিছু ঝাউগাছ কাটা পড়ছে। তবে উন্নয়নের কারণে গাছ কাটার অভিনব প্রতিবাদ করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার সকালে শিক্ষার্থীরা ব্যঙ্গ–বিদ্রূপাত্মক কথা যুক্ত পোস্টার নিয়ে ঝাউবন এলাকার সড়কে মানববন্ধন করেন।

‘পটুয়াখালীর সাধারণ শিক্ষার্থী’র ব্যানারে আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পটুয়াখালী সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে মিছিল নিয়ে ঝাউবন এলাকার নির্মাণাধীন চার লেন সড়কের দিকে যান শিক্ষার্থীরা। তাঁদের হাতে ধরা পোস্টারে লেখা ছিল, ‘ঝাউবনে আর গাছ নেই, আনন্দের আর সীমা নেই’, ‘আর চাই না ছায়ায় ঘেরা গাছ, পিচের রাস্তায় হাঁটব বারো মাস’, ‘উন্নয়ন আর উন্নয়ন, গাছের কী আর প্রয়োজন’, গাছের গোড়ায় দায়ের কোপ, উন্নয়ন আরও দ্রুত হউক’—এমন কথা।

পরে শিক্ষার্থীরা ঝাউতলা সড়কে মানববন্ধন করেন। এ সময় সেখানে বক্তব্য দেন পটুয়াখালী সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের স্নাতকোত্তরের ছাত্র মাহাফুজুল ইসলাম ও মুক্তা রানী এবং এ কে এম কলেজের শিক্ষার্থী মো. আরিফ।

তবে ঝাউবন কাটার বিষয়ে পটুয়াখালী পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো. দেলোয়ার হোসেন আকন প্রথম আলোকে বলেন, পৌরসভা থেকে ওই সড়কটি চার লেনে উন্নীত করার কাজ চলছে। সড়কের মাঝখানে বিদ্যুতের খুঁটি ও ভূগর্ভস্থ বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন টানা হচ্ছে। এ কারণে জেলার উন্নয়ন সমন্বয় সভায় বিষয়টি উপস্থাপন করার পর সভা থেকে বন বিভাগের মাধ্যমে একটি কমিটি করা হয়।

গাছ কাটছে বন বিভাগ। তবে পৌরসভা থেকে পৌর শহরের সৌন্দর্যবর্ধনে গাছ রোপণ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে শহরের মহিলা কলেজ এলাকা থেকে বাঁধঘাট পর্যন্ত সড়কের মাঝখানে বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপণ করা হয়েছে। গাছগুলো সড়কের সৌন্দর্য বাড়িয়েছে। ঝাউবাগান এলাকার সড়কে তিন স্তরে গাছ রোপণের পরিকল্পনা রয়েছে পৌরসভার।

পটুয়াখালীর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল-মামুন প্রথম আলোকে বলেন, উন্নয়ন সভার কমিটির সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী ঝাউবন এলাকায় ৬৩টি ঝাউগাছ কাটার সিদ্ধান্ত হয় এবং গাছগুলো বন বিভাগ থেকে সংকেতিক চিহ্ন দিয়ে কাটা হচ্ছে। তবে একটি গাছের বিপরীতে পৌরসভা থেকে তিনটি করে গাছ রোপণ করা হবে। সড়ক নির্মাণ, বিদ্যুতের খুঁটি স্থাপন ও ভূগর্ভস্থ বিদ্যুৎ সঞ্চলন লাইনের কাজ শেষ করে নতুন করে গাছ রোপণ শুরু হবে।