ব্রহ্মপুত্র নদের তীব্র ভাঙনে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ-খোলাবাড়ী প্রধান সড়ক বিলীন হয়ে গেছে। খোলাবাড়ী নৌ থানা থেকে দেওয়ানগঞ্জের সঙ্গে সড়কপথে যান চলাচল গত শনিবার বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছে ১০টি এলাকার ১৫ হাজার মানুষ।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, গত শুক্রবার মধ্যরাত থেকে সড়কে ভাঙন শুরু হয়। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে পুরো সড়কটি বিলীন হয়ে গেছে। সড়কের পাশ দিয়ে বহু গাছপালা ছিল। ওই সব গাছপালাও নদের গর্ভে চলে গেছে। সড়কটি রক্ষায় কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বাহাদুরাবাদ নৌ থানা, চিকাজানি, খোলাবাড়ী, হাজারীপট্টি, চর মাগুরীহাট, মুন্নে বাজার, মণ্ডলবাজার, চর বাহাদুরাবাদসহ ১০টি এলাকার মানুষ এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে।
শনিবার বিকেলে সরেজমিন দেখা যায়, দেওয়ানগঞ্জ-খোলাবাড়ী সড়কের কাজলাপাড়া এলাকায় এক কিলোমিটার সড়ক ভাঙনের কবলে পড়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৭০০ মিটার সড়ক নদের গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সড়কের পাড়ে যতটুকু মাটি আছে, মানুষ সেখান দিয়ে হেঁটে চলাচল করছে। তারপর যানবাহনে চড়ছে, কিন্তু পানির তীব্র স্রোত সে পাড়েও আঘাত হানছে। বড় বড় মাটির স্তূপ ভেঙে ভেঙে পড়ছে। ফলে এই হাঁটার পথটুকু থাকবে কি না, সেটা নিয়ে অনেকে চিন্তিত।
কাজলাপাড়া এলাকার বাসিন্দা রবিউল ইসলাম বলেন, ২০২০ সাল থেকে সড়কটি ভাঙনের কবলে পড়ে। ওই সময় সড়কের কিছু অংশ নদের গর্ভে চলে যায়। শুরুর দিকে কিছু বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন রক্ষার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু শুকনা মৌসুমে ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। চলতি বছর নদে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙন শুরু হয়।
চিকাজানি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মমতাজ উদ্দিন বলেন, ২০২০ সালে সড়কটির কিছু অংশ ধসে পড়লে সড়কটি রক্ষায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ধরনা দেন তিনি। কোনো ফলাফল পাওয়া যায়নি। দেওয়ানগঞ্জের পশ্চিম অঞ্চলের একমাত্র সড়ক ছিল এটি। দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কপথের একটি বিকল্পের ব্যবস্থা করার দাবি জানান তিনি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জামালপুর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু সাঈদ বলেন, সেখানে গত বছর ভাঙনরোধে জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছিল। এবার কোনো বরাদ্দ না থাকায় কোনো কাজ করা সম্ভব হয়নি। এখন কোনো কাজ করা সম্ভব নয়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে।