ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১১ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর ও হাটহাজারীতে মাদ্রাসাছাত্রদের ওপর হামলার প্রতিবাদে অগ্নিসংযোগ। শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে
ফাইল ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-নোয়াখালী ও ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে ১১ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে গতকাল রোববার রাত ১০টায় ট্রেন চলাচল শুরু হয়। হেফাজতে ইসলামের হরতালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গোলযোগ হওয়ায় এসব রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনের স্টেশনমাস্টার শয়েব আহমেদ বলেন, গতকাল সকাল ৮টা ২০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে মালবাহী ট্রেন ছেড়ে যায়। পরে সকাল নয়টায় সিলেটের উদ্দেশে পারাবত এক্সপ্রেস ছেড়ে যায়। এরপর থেকে হরতালে উত্তপ্ত পরিস্থিতির কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। পরে রাত ১০টার দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।

এর আগে গতকাল সকাল নয়টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রথমে চট্টগ্রামগামী সোনার বাংলা এক্সপ্রেসে ভাঙচুর চালানো হয়। রেললাইনের নাট-বল্টু খুলে নেওয়ার পাশাপাশি লাইনের ওপর কংক্রিটের স্ল্যাবও ফেলে রাখে হরতালকারীরা। আশুগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাঝখানে ১৮ নম্বর রেলসেতুতেও আগুন দেওয়া হয়। দুপুরের দিকে আশুগঞ্জ রেলস্টেশনে হরতালকারীরা জড়ো হয়। এই গোলযোগের মধ্যে বিভিন্ন স্থানে আটকা পড়েছে বেশ কয়েকটি ট্রেন।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, গতকাল সকাল আটটার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া হয়ে ঢাকার পথে একটি মালবাহী ট্রেন আসে। এরপর ঢাকা থেকে সিলেটমুখী পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেন যায়। এরপর আর কোনো ট্রেন চলাচল করেনি। সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনের কাছাকাছি হামলার মুখে পড়লে ট্রেনটিকে ফিরিয়ে ভৈরব নিয়ে আসা হয়।