বড়লেখায় তরুণীকে ধর্ষণের মামলায় দুজন কারাগারে

প্রতীকী ছবি

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় এক তরুণীকে (১৮) ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় পৃথক দুটি স্থান থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার গ্রেপ্তার দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন উপজেলার শাহবাজপুর বাজারের পাহারাদার দেলোয়ার হোসেন (২৫) ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক আলী আহমদ (১৮)। দুজনের বাড়িই বড়লেখা উপজেলাতে।

বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার প্রথম আলোকে বলেন, শুক্রবার সকালে ওই তরুণী খালার বাড়ি থেকে নানার বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথে অটোরিকশাচালক আলী আহমদের সহযোগিতায় শাহবাজপুর বাজারের পাহারাদার দেলোয়ার হোসেন তাঁকে ধর্ষণ করেছেন। ওই দিনই বেলা আড়াইটার দিকে তরুণী বাদী হয়ে দেলোয়ারের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং আলী আহমদের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগ এনে বড়লেখা থানায় মামলা করেন। এজাহারে বলা হয়, শুক্রবার সকাল সাতটার দিকে একটি সড়কের পাশে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে।

পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ছোটবেলা থেকে ওই তরুণী নানার বাড়িতে থাকেন। গত বৃহস্পতিবার তিনি নানা বাড়ি থেকে খালার বাড়ি বেড়াতে যান। রাতেই খবর পান, তাঁর নানা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অসুস্থ নানাকে দেখতে শুক্রবার সকালে খালার বাড়ি থেকে নানার বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন তিনি। তরুণীর এক খালাতো ভাই শাহবাজপুর বাজারে সিএনজিচালক আলী আহমদের গাড়িতে তাঁকে তুলে দেন। গাড়িতে আর কোনো যাত্রী ছিল না। পথে সিএনজিচালক শাহবাজপুর বাজারের পাহারাদার দেলোয়ারকে গাড়িতে ওঠান। পরে তাঁকে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করেন।

এ সময় সড়ক দিয়ে একটি মোটরসাইকেলে লোকজন ঘটনাস্থলে চলে এলে তরুণীকে রেখে দুজন পালিয়ে যান। এদিকে, সময় গড়িয়ে ওই তরুণী নানাবাড়ি না পৌঁছানোয় খালাতো ভাইও তাঁকে খুঁজতে বের হন। একপর্যায়ে খালাতো ভাই ও স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থল থেকে তাঁকে উদ্ধার করেন। ওই তরুণীকে শনিবার সকালে শারীরিক পরীক্ষার জন্য মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল দুপুরে মামলা দায়েরের পর সন্ধ্যায় শাহবাজপুর তদন্তকেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করে।