নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুণীকে ধর্ষণ ও ভিডিও চিত্র ধারণের ঘটনায় অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা ভারত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন বলে জানিয়েছে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আজ মঙ্গলবার দুপুরে পিবিআইয়ের নোয়াখালী কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন পিবিআই কুমিল্লার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান।
অভিযুক্ত যুবলীগ নেতার নাম ফুয়াদ আল মতিন (৩৮)। তিনি নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। গত রোববার সকালে ওই তরুণীকে (২৩) চাকরি দেওয়ার কথা বলে উপজেলার পাল্লা বাজারের একটি বিমা কোম্পানির কার্যালয়ে ডেকে এনে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। সোমবার কুমিল্লার কান্দিরপাড় এলাকা থেকে ফুয়াদকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পিবিআই নোয়াখালী কার্যালয়ের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনাটি গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ার পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ধরতে পিবিআই কুমিল্লা ও এর আশপাশের ইউনিটগুলো তৎপর হয়। প্রযুক্তির ব্যবহার করে এবং গোপন সংবাদে তাঁরা জানতে পারেন অভিযুক্ত ফুয়াদ কুমিল্লা হয়ে ভারত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এরপর তাঁরা কুমিল্লায় বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে খোঁজ নেওয়া শুরু করেন। একপর্যায়ে জানতে পারেন কুমিল্লা শহরের কান্দিরপাড় এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে ফুয়াদ তাঁর নাম পাল্টে রোববার সন্ধ্যায় একটি কক্ষ ভাড়া নিয়েছেন। এরপর পিবিআই কুমিল্লার একটি দল ওই হোটেলের পাশ থেকে গতকাল সোমবার সকালে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গ্রেপ্তার ফুয়াদ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তরুণীকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ ও ভিডিও চিত্র ধারণের কথা স্বীকার করেছেন। তাঁকে আজ মঙ্গলবার আদালতে হাজির করার কথা। পিবিআইয়ের পরিদর্শক সিরাজুল মোস্তফা মামলাটি তদন্ত করবেন।
ঘটনার পর ওই তরুণী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও পর্নোগ্রাফি আইনে ফুয়াদ আল মতিনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এতে তিনি অভিযোগ করেন, গত রোববার সকালে তাঁকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে পাল্লা বাজারের ওই বিমা কোম্পানির কার্যালয়ে ডেকে নেন ফুয়াদ আল মতিন। এরপর তাঁকে নাশতা ও কোমল পানীয় খেতে দেন। এতে তাঁর শরীর ঝিমঝিম করতে থাকে। একপর্যায়ে ফুয়াদ তাঁকে ধর্ষণ করেন। এ সময় তাঁর অপর এক সহযোগী ধর্ষণের ঘটনার ভিডিও চিত্র ধারণ করেন।