ভালুকায় দুই পা বিচ্ছিন্নের ঘটনায় চারজনের রিমান্ড আবেদন
ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় কুপিয়ে আবদুর রাজ্জাক নামের এক ব্যক্তির দুই পা বিচ্ছিন্ন করার ঘটনায় আরও চারজনের বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। আজ শনিবার দুপুরে এই চারজনের বিরুদ্ধে রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে ভালুকা মডেল থানার পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক।
পুলিশ ও র্যাব সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজ্জাকের ছেলে বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ এবং ৮ থেকে ১০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে হত্যাচেষ্টাসহ আরও কয়েকটি ধারায় থানায় একটি মামলা করেন। এর আগে এ ঘটনায় পুলিশের হাতে আটক এক নারীসহ তিনজনকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তাঁদের মধ্যে দুজনকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু ওই দিন আদালতে তাঁদের শুনানি হয়নি। আগামীকাল রোববার তাঁদের রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।
র্যাবের হাতে আটক প্রধান আসামিসহ চারজনকে শুক্রবার বিকেলে ভালুকা মডেল থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে তাঁদের এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে আজ আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ নিয়ে গ্রেপ্তার মোট সাতজনের মধ্যে এক নারী ছাড়া সবার বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ।
পুলিশের রিমান্ডের আবেদন করা ব্যক্তিরা হলেন জসিম উদ্দিন পাঠান (৫৫), মাসুম মোল্লাহ (৫০), রুহুল আমিন পাঠান (৪০), ইকবাল পাঠান (৩৮), রাফিকুল ইসলাম মুন্সী (৫৫) ও মোমিনুল ইসলাম (৩৫)। তাঁদের সবার বাড়ি ভালুকা উপজেলায়।
মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ধামশুর মৌজার ধোবাজানের খাল ভরাট ও স্থানীয় জসিম উদ্দিন পাঠান গংয়ের সঙ্গে কাঁঠালী গ্রামের আর্টি কম্পোজিট ডায়িং কারখানার মালিক রাজ্জাকের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। এ নিয়ে আদালতে দুই পক্ষের মামলা চলমান। গত বুধবার সকালে খাল ভরাট করে কারখানার বর্জ্য নিষ্কাশনের পাইপলাইন স্থাপনের কাজ করছিল কারখানা কর্তৃপক্ষ। এতে কয়েকজন ব্যক্তি বাধা দেন। একপর্যায়ে স্থানীয় জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে রুহুল আমিন, ইকবালসহ আরও কয়েকজন রাজ্জাকের ওপর হামলা করেন। ওই সময় জসিম পাঠানের দায়ের কোপে রাজ্জাকের এক পা বিচ্ছিন্ন এবং অপর পা ঝুলতে থাকে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তির পর তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেন, এই মামলায় মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে তিনজন কারাগারে আছেন। তাঁদের মধ্যে দুজনের রিমান্ড শুনানি রোববার। আজ আরও চারজনকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।