ভাষাশহীদদের স্মরণে একসঙ্গে জ্বলল লাখ মোমবাতি

কুড়িরডোব মাঠজুড়ে মোমবাতির শিখায় নানান আলপনা তৈরি করা হয়
ছবি: প্রথম আলো

এবারও একসঙ্গে এক লাখ মোমবাতি জ্বেলে ভাষাশহীদদের স্মরণ করলেন নড়াইলবাসী। আজ সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে নড়াইল শহরের কুড়িরডোব মাঠে একসঙ্গে লাখো মোমবাতি জ্বলে ওঠে। ‘অন্ধকার থেকে মুক্ত করুক একুশের আলো’—এই প্রতিপাদ্যে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এর আয়োজন করে একুশের আলো পর্ষদ।

কুড়িরডোব মাঠে বিকেল থেকে একুশের কবিতা ও গান, দেশাত্মবোধক ও গণসংগীত পরিবেশন করা হয়। প্রায় চার একরের ওই খেলার মাঠজুড়ে মোমবাতির শিখায় তৈরি করা হয় নানান আলপনা। এর মধ্যে ছিল বঙ্গবন্ধু ও ভাষাশহীদদের মুখচ্ছবি, শহীদ মিনার, বর্ণমালা, স্মৃতিসৌধ, শাপলা ফুল ও মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন স্মৃতিচিহ্ন। ভাষা দিবসের ৭১তম বার্ষিকী উপলক্ষে মোমবাতি প্রজ্বালনের সঙ্গে ওড়ানো হয় ৭১টি ফানুসও।

আরও পড়ুন

সন্ধ্যায় সম্মিলিত কণ্ঠে গাওয়া হয় ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি...’ গানটি। এ সময় মোমবাতি প্রজ্বালন কর্মসূচির যৌথভাবে উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার বিশ্বাস, নড়াইল পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা, নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ মো. রবিউল ইসলাম, সাংসদ মাশরাফি বিন মুর্তজার বাবা গোলাম মুর্তজা, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি মলয় কুমার কুণ্ডু ও সাধারণ সম্পাদক শরফুল আলম প্রমুখ।

আয়োজনের অন্যতম উদ্যোক্তা মূর্ছনা সংগীত নিকেতনের সভাপতি ও একুশের আলোর কোষাধ্যক্ষ শামীমূল ইসলাম জানিয়েছেন, ১৯৯৮ সাল থেকে ওই মাঠে এমন ব্যতিক্রমী কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। প্রথম বছর জ্বালানো হয়েছিল ১০ হাজার মোমবাতি। তিনি আরও জানান, এবারের কর্মসূচি সফল করতে এক মাস ধরে সাংস্কৃতিককর্মী, স্বেচ্ছাসেবক ও শ্রমিকেরা কাজ করছেন। এতে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেছে স্কয়ার কোম্পানি।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক শরফুল আলম বলেন, প্রতিটি মাতৃভাষা ও সংস্কৃতি আগ্রাসনমুক্ত থাকুক, আলোকিত থাকুক-এর প্রতীকী হিসেবে এই কর্মসূচি।