ভুক্তভোগী পরিবারসহ স্থানীয় জনগণকে হয়রানি না করতে নির্দেশ

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

রংপুরের হারাগাছ থানায় তাজুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগের প্রেক্ষাপটে ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় জনগণকে যাতে হয়রানি না করা হয়, তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে এক সপ্তাহের জন্য শুনানি মুলতবি করা হয়েছে।

তাজুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন ২ নভেম্বর আদালতের নজরে এনে তা পড়ে শোনান আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। তখন এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষকে জানাতে বলেন আদালত।

এর ধারাবাহিকতায় ৩ নভেম্বর বিষয়টি শুনানির জন্য ওঠে। সেদিন আদালত শুনানি নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ আদেশ দেন।

ওই ঘটনায় গঠিত চার সদস্যর কমিটির প্রতিবেদন, লাশের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ও অপমৃত্যুর মামলার অনুলিপি ১১ নভেম্বরের মধ্যে দাখিল করতে বলা হয়। এর ধারাবাহিকতায় আজ আদেশ দেওয়া হয়।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত শুনানি করেন। অন্যদিকে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন নজরে আনা আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া শুনানি করেন।

পরে আদেশের বিষয়টি জানিয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত প্রথম আলোকে বলেন, কমিটির প্রতিবেদন ও তথ্য ইতিপূর্বে আদালতে দাখিল করা হয়। আদালতে ভিসেরা রিপোর্ট দাখিলের জন্য সময় চাওয়া হয়। আদালত এক সপ্তাহ শুনানি মুলতবি করে আগামী বুধবার পরবর্তী দিন রেখেছেন।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত আরও বলেন, অপর পক্ষের আইনজীবী স্থানীয় জনগণকে হয়রানি করার অভিযোগ করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জানানো হয়, ওই ঘটনাসূত্রে হারাগাছ এলাকার কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে রংপুর মহানগর পুলিশ জানিয়েছে। ভিসেরা রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় জনগণকে যাতে কোনো ধরনের হয়রানি না করা হয়, তা নিশ্চিত করতে রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।