ভোলায় আ.লীগের নেতা–কর্মীদের ওপর হামলা, আহত ৬

ভোলা জেলার মানচিত্র

ভোলার দৌলতখান উপজেলায় গত ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে সমর্থন করায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের পাটওয়ারী বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে আহত ব্যক্তিদের ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আহত ব্যক্তিরা হলেন মদনপুর ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রিপন, সহসভাপতি মো. মাইনুদ্দিন, ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মহিনউদ্দিন, সমর্থক আবু সাইদ ও মো. সিরাজ। এ সময় হামলাকারীরা চারটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন।

আহত আবুল কালাম অভিযোগ করে বলেন, গত ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত মদনপুর ইউপি নির্বাচনে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জামাল উদ্দিন হেরে গিয়ে তাঁর লোকজন দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে আসছেন। ২৬ নভেম্বর মেঘনা নদীর মাঝে বিজয়ী চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিনকে হত্যার উদ্দেশ্যেই গুলি ছোড়া হয়। এতে খোরশেদ আলম নামের এক যুবলীগ নেতা নিহত হন। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রাতে জামালের সমর্থক কালিমুল্লাহ মালের নেতৃত্বে সিরাজ, কামাল, শামিম, সবুজ, শাকিল, আজাদসহ ১০-১২ জন মিলে পাটওয়ারী বাজারে নাছির উদ্দিনের সমর্থকদের ওপর দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালান। এ সময় হামলাকারীরা চারটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। হামলায় আওয়ামী লীগের ছয় নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।

আবুল কালাম আরও বলেন, জামাল উদ্দিন একজন জলদস্যু। তাঁর পক্ষ নিয়ে একটি চক্র মদনপুর ইউপিকে সন্ত্রাসের রাজ্যে পরিণত করতে চায়। মদনপুরের মানুষ এ থেকে পরিত্রাণ চায়।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত কালিমুল্লাহ মালের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁর ছোট ভাই আলাউদ্দিন মাল বলেন, মূলত দুই গ্রুপের মারামারি দেখে তাঁর ভাই কালিমুল্লাহ তাঁদের থামাতে গিয়েছিলেন। তিনি কাউকে মারধর করেননি।

দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলার রহমান প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে আজ সকালে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।