মঙ্গলবার থেকে চিলমারী রমনা পথে চলবে ট্রেন

মঙ্গলবার সকাল থেকে চিলমারী রমনা রেলপথে ট্রেন চলবে
ছবি: প্রথম আলো

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে প্রায় দুই বছর আগে কুড়িগ্রাম রমনা রেলপথে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ট্রেন চলাচল। ফলে যোগাযোগে ভোগান্তি হচ্ছিল ওই এলাকার যাত্রীদের। সেই ভোগান্তির শেষ হচ্ছে আগামীকাল মঙ্গলবার। এ রুটে আবারও ট্রেন চালুর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে লালমনিরহাট রেলওয়ে ডিভিশন।

আজ সোমবার কুড়িগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার মো. সামসুজ্জোহা প্রথম আলোকে বলেন, মঙ্গলবার সকাল আটটায় চিলমারীর রমনা রেলস্টেশন থেকে কমিউটার নামে ট্রেন ছেড়ে বেলা ১১টায় রংপুর স্টেশনে পৌঁছাবে। সেখান থেকে বেলা সাড়ে ১১টায় ছেড়ে দুপুর সাড়ে ১২টায় লালমনিরহাট পৌঁছাবে।

স্থানীয় কয়েক বাসিন্দা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পার্বতীপুরগামী চিলমারী রমনা লোকাল মেইল ট্রেনটি এ পথে চলাচল করেছে। এ জনপদের মানুষ স্বল্প খরচে ট্রেনটিতে নিয়মিত যাতায়াত করে থাকেন। ২০২০ সালের মার্চ থেকে এ রুটে সারা দেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। করোনার প্রকোপ কমে গেলে দেশের সব রেলপথে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হলেও নানা কারণে এ পথে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ।

লালমনিরহাট রেলপথ কর্তৃপক্ষ জানায়, নতুন নামে চালু হওয়া কমিউটার ট্রেনটি এখন থেকে বিকেলে লালমনিরহাট-কাউনিয়া-কুড়িগ্রাম-রমনা এবং সকালে রমনা-কুড়িগ্রাম-কাউনিয়া-রংপুর– লালমনিরহাট রেলপথে যাতায়াত করবে। মূলত রংপুর এক্সপ্রেস আন্তনগর ট্রেনের সংযোগকারী শাটল ট্রেন হিসেবে কমিউটার নাম নিয়ে এটি যাতায়াত করবে।

রেল, নৌ যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটির সাবেক সহসভাপতি ও রেলপথ আন্দোলনের নেতা আবদুল কাদের বলেন, ট্রেন চালু হওয়ার খবরে এ অঞ্চলের মানুষ খুশি। কিন্তু এটা মূলত রংপুর এক্সপ্রেসের সংযোগকারী শাটল ট্রেনটিকে কমিউটার ট্রেন নামে চালানোর একটি উদ্যোগমাত্র। স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা করে ট্রেনের যাত্রীবান্ধব সময়সূচি নির্ধারণের দাবি জানান তিনি।

রেল, নৌ যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটির কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী নাহিদ হাসান বলেন, ট্রেনের সময়সূচি নিয়ে স্থানীয় মানুষের মধ্যে অসন্তোষ আছে। কারণ, সকালে কুড়িগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস রংপুর-পার্বতীপুর হয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবে। এর কিছুক্ষণ পর একই পথে যাবে কমিউটার ট্রেনটি। ফলে অসময়ে যাত্রী না পাওয়ায় এ ট্রেনটিও বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে। এ জন্য ট্রেনের শিডিউল পরিবর্তনের দাবি উঠেছে। পাশাপাশি ট্রেনটি পার্বতীপুর রেলওয়ে জংশন পর্যন্ত চালু করে বৃহত্তর দিনাজপুর জেলা ও রাজশাহী বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ উন্নিতের দাবি উঠেছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে লালমনিরহাটের ডিভিশনাল ট্রাফিক সুপারিটেনডেন্ট খালিদুন নেছা বলেন, আগামীকাল থেকে রমনা রেলপথে কমিউটার ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এখনো পুরো শিডিউল চূড়ান্ত হয়নি। সবকিছুই এখনো পর্যালোচনার পর্যায়ে। বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে পর্যালোচনা ও সমন্বয় করেই কর্তৃপক্ষ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। এ ছাড়া কুড়িগ্রাম-রমনা রেলপথে ট্রেন চালুর পর পর্যায়ক্রমে রেলপথটিরও সংস্কার করা হবে।