জলবসন্ত
প্রতীকী ছবি

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় হঠাৎ জলবসন্তের (চিকেন পক্স) রোগী বেড়েছে। ১৫ দিন ধরে উপজেলা সদর ও আশপাশের প্রায় প্রতিটি এলাকায় জলবসন্তের রোগী পাওয়া গেছে। তীব্র গরম ও ধুলাবালুর কারণে জলবসন্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে বলে চিকিৎসকেরা ধারণা করছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কার্যালয় সূত্র জানায়, ৬ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত হাসপাতালের বহির্বিভাগে ৫১ জলবসন্তের রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ছাড়া একই সময়ে উপজেলা সদরে ১৫ চিকিৎসকের ব্যক্তিগত চেম্বারে আরও ৪২ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। সব মিলিয়ে গত ১৫ দিনে চিকিৎসাসেবা নেওয়া ১০৩ জনের মধ্যে ৬০ জনের বেশি শিশু।

দুই সপ্তাহের ব্যবধানে উপজেলায় জলবসন্তের রোগী বেড়েছে। এর আগে গত ২২ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ৩২ জন জলবসন্তের রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এদিকে ১৫ চিকিৎসকের ব্যক্তিগত চেম্বারে আরও ১৯ জন চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

উপজেলার নবকলস এলাকার ব্যবসায়ী মো. শাকিল বলেন, তাঁর চার বছরের মেয়ে কয়েক দিন আগে জলবসন্তে আক্রান্ত হয়। শরীরে জ্বর ও চামড়ায় ফোসকা দেখা দেয়। ছোঁয়াচে রোগ হওয়ায় প্রথম কয়েক দিন চিকিৎসকের কাছে তাকে নেননি। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় স্থানীয় এক চিকিৎসককে দেখিয়েছেন। বর্তমানের তার মেয়ে অবস্থা কিছুটা ভালো।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) রাজিব কিশোর বণিক বলেন, কয়েক দিন ধরে প্রচণ্ড গরম পড়ায় এবং ধুলাবালুর পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় অনেক লোক এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তবে নানা কুসংস্কারের কারণে এবং রোগটি ছোঁয়াচে হওয়ায় আক্রান্ত অনেকেই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে চায় না। চিকিৎসকের কাছে না এসে বাড়িতেই মনগড়া ওষুধ খাচ্ছে। কেউ কেউ কবিরাজের চিকিৎসাও নিচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। এসব কারণে তাঁর উপজেলায় ঠিক কী পরিমাণ লোক ওই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বা হয়েছে, সেটার সঠিক পরিসংখ্যান দেওয়া কঠিন।

রাজিব কিশোর বণিক বলেন, জলবসন্তে আক্রান্ত ব্যক্তিদের পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এ রোগ নিরাময় হতে সাধারণত ৭ থেকে ১০ দিন সময় লাগে।