মহাদশমীতে ভক্তদের সিঁদুর খেলার উৎসব, সন্ধ্যায় বিসর্জন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মণ্ডপগুলোয় শুক্রবার সকালে দেবী দুর্গার পায়ে সিঁদুরের ছোঁয়ার পর শুরু হয় ভক্তদের সিঁদুর খেলা। শহরের গগণ সাহা বাড়ির সর্বজনীন পূজামণ্ডপে
ছবি: প্রথম আলো

আজ শুক্রবার শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাদশমী ও বিসর্জনের রাত। সকালে পূজামণ্ডপে দেবীর পায়ে সিঁদুরের ছোঁয়ার পর শুরু হয় ভক্তদের সিঁদুর খেলা। সন্ধ্যার আরতি শেষে দেবী দুর্গাকে বিদায় জানানো হবে।

সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পাইকপাড়া এলাকায় বিভিন্ন পূজামণ্ডপে সিঁদুর খেলার উৎসবমুখর পরিবেশ দেখা যায়। সকাল থেকেই মেড্ডা পোদ্দার বাড়ি ও কালভৈরব বাড়ি সর্বজনীন পূজামণ্ডপ, পাইকপাড়ার গগণ সাহা বাড়ি, ভেনাস ক্লাব পূজামণ্ডপ ও রামঠাকুর আশ্রম, হালদারপাড়ার আনন্দময়ী কালীবাড়ি সর্বজনীন পূজামণ্ডপ, দক্ষিণ কালীবাড়ি সর্বজনীন পূজামণ্ডপে বাহারি রঙের সজ্জা চোখে পড়ে। দর্শনার্থীরা দল বেঁধে, অনেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মণ্ডপে দেবী দর্শন ও সিঁদুর খেলায় যোগ দেন।

সকাল নয়টার পর থেকে দর্শনার্থী ও ভক্তরা পূজামণ্ডপে হাজির হতে শুরু করেন। তাঁরা দেবীর পায়ে সিঁদুরের ছোঁয়া লাগান। পরে সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন। নারীরা থালায় সিঁদুর নিয়ে একে অপরের কপালে ও গালে সিঁদুর লাগান। কেউ কেউ সিঁদুর খেলার ছবি ও সেলফি তুলতেও ব্যস্ত ছিলেন।

শহরের পূর্ব পাইকপাড়ার গগণ সাহা বাড়ির সর্বজনীন পূজামণ্ডপে দর্শনার্থী শিপ্রা বিশ্বাস ও শ্রাবন্তী চক্রবর্তী বলেন, নানা প্রতিকূলতা ছিল। তারপরও কোনো প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই মহা বিজয়া দশমীর দিনে সিঁদুর খেলা হয়েছে। সবাই আনন্দের সঙ্গে উৎসব উপভোগ করেছে।

আজ সন্ধ্যায় আরতি শেষ করে দেবী দুর্গাকে বিসর্জন দেওয়া হবে। আগের বছরগুলোয় রাতে বিসর্জন দেওয়া হলেও দেশের সার্বিক পরিস্থিতির কারণে সময় এগিয়ে আনা হয়েছে। পূর্ব পাইকপাড়ার গগণ সাহা বাড়ির সর্বজনীন পূজামণ্ডপ কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল চক্রবর্তী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের মণ্ডপে বেলা ১১টার দিকে সিঁদুর খেলা শুরু হয়। চলে দুপুর পর্যন্ত। সন্ধ্যার আরতির পর দেবী দুর্গাকে বিসর্জন দেওয়া হবে।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এ বছর ৫৮০টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা আয়োজন করা হয়েছে। করোনা সংক্রমণ এড়াতে এ বছর অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে।