মহেশখালীতে কালবৈশাখীর তাণ্ডবে বিদ্যালয় বিধ্বস্ত, তিন শিশু আহত
কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে হঠাৎ কালবৈশাখীর তাণ্ডবে গাছপালা ভেঙে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে এ ঝড়ে উপজেলার হোয়ানক পূর্ব হরিয়ার ছড়া বঙ্গবন্ধু বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আধা-পাকা ভবনটি বিধ্বস্ত হয়ে তিন শিশু শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
আহত শিশুদের মধ্যে শিশু শ্রেণির ছাত্রী মুনতাহা বেগমকে (৭) প্রথমে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত প্রথম শ্রেণির ছাত্রী ফারিয়া সুলতানা ও শিশু শ্রেণির ছাত্রী মোবাশ্বেরা বেগমকে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এলাকাবাসী ও বিদ্যালয় সূত্র জানায়, প্রতিদিনের মতো আজ সকাল সাড়ে নয়টায় পূর্ব হরিয়ার ছড়া বঙ্গবন্ধু বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান শুরু হয়। এর আধা ঘণ্টা পর শুরু হয় কালবৈশাখীর তাণ্ডব। এতে বিদ্যালয়ের টিনসেট ভবনটি বিধ্বস্ত হয়ে তিন স্কুলছাত্রী আহত হন। পরে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে আহত তিন স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। মুনতাহা বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাৎক্ষণিক মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সদর হাসপাতালে পাঠান।
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাহামত উল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, হঠাৎ কালবৈশাখীর ঝড়ের কবলে বিদ্যালয়ের আধা পাকা ভবনটি ভেঙে যায়। এ সময় ক্লাস ছাত্রছাত্রীরা দিক ওদিক ছোটাছুটি করতে গিয়ে তিন শিশু আহত হয়।
প্রধান শিক্ষক আরও বলেন, ২০০৭ সালে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এরপর ২০১৬ সালে ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে ওই বিদ্যালয়ের ভবনটি ভেঙে যায়। পরে স্থানীয় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আবারও টিন সেট একটি ভবন নির্মাণ করা হয়। আজ কালবৈশাখীর কবলে পড়ে আবারও ওই বিদ্যালয়ের ভবনটি ভেঙে গেল।
এদিকে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) মোহাম্মদ ইয়াছিন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, কালবৈশাখীর ঝড়ের কবলে পড়ে ওই বিদ্যালয়ের টিনসেট ভবনটি ভেঙে গেছে। তাই পুনরায় ভবন নির্মাণের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে।