মহেশখালীতে দুই পক্ষের গোলাগুলি ও সংঘর্ষে একজন নিহত

লাশ উদ্ধার
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে মোহাম্মদ ফেরদৌস (২৫) নামের এক তরুণ নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের ফকিরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষের পর আহত ব্যক্তিদের মধ্যে চারজনকে উদ্ধার করে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান স্থানীয় ব্যক্তিরা। কিন্তু তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠান। আহতরা হলেন মোহাম্মদ ওয়াসিম (৩০), মোহাম্মদ, রাসেল (২৫), মোহাম্মদ সিরাজ (৫৫) ও মোহাম্মদ আরিফ বাদশা (২৮)। নিহত মোহাম্মদ ফেরদৌস ওই এলাকার নুরুন নেছারের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও মহেশখালী থানা–পুলিশের ভাষ্যমতে, লবণমাঠের পানি চলাচলকে কেন্দ্র করে শনিবার দুপুরে বড় মহেশখালী ইউনিয়নের ফকিরাঘোনার বাসিন্দা মোহাম্মদ জাবেদ ও মোহাম্মদ ফেরদৌস পক্ষের লোকজনের মধ্যে কথা–কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে একপর্যায়ে লবণ মাঠে দুই পক্ষের লোকদের মধ্যে মারামারি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোববার সন্ধ্যায় ফকিরাঘোনা এলাকায় আবারও দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দফায় দফায় সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক রানা দে প্রথম আলোকে বলেন, নিহত ফেরদৌসের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের পাশাপাশি পাঁচটির অধিক গুলির চিহ্ন রয়েছে। আহত চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে রোববার রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

মুঠোফোনে মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল হাই প্রথম আলোকে বলেন, লবণমাঠের পানি চলাচলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছেন। এ ঘটনায় মোহাম্মদ ফেরদৌস নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ধরার জন্য পুলিশ চেষ্টা করছে।