মাদারীপুরে আ.লীগের দুপক্ষের সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ১৩

মাদারীপুরে সাংসদ শাজাহান খান ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লার সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে সদর উপজেলার কলাবাড়ি এলাকায়
প্রথম আলো

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও মাদারীপুর-২ আসনের সাংসদ শাজাহান খান ও মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে।

আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খসরুজ্জামান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এতে ৯৬ জনের নাম উল্লেখসহ প্রায় ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এরই মধ্যে ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ দুপুরে মাদারীপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করা হলে আদালতের বিচারক তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) চৌধুরী রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, রাজনৈতিক দুটি পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষের সময় ইট-পাটকেল নিক্ষেপে পুলিশের ছয় সদস্য আহত হয়েছেন। সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে গতকাল শনিবার রাতে ১৩ জনকে আটক করা হয়। পরে পুলিশের করা মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লার পদত্যাগ ও বিচারের দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের কলাবাড়ি এলাকায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভের আয়োজন করে সাংসদ শাজাহান খানের সমর্থিত কর্মীরা। একই সময় ওই স্থানে শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লার সমর্থকেরা প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন। এতে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পুলিশের উপস্থিতিতেই উভয় পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় পুলিশ লাঠিপেটা করে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এরপর উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ৬ পুলিশসহ আহত হন অন্তত ১৫ জন।

২০ মে মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা রাজৈরে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। সেখানে সাংসদ শাজাহান খানের কর্মকাণ্ড ও তাঁর বাবা আচমত আলী খানের মুক্তিযুদ্ধের ভূমিকা নিয়ে বক্তব্য দেন। এ সময় শাজাহান খানের বাবার বিভিন্ন পদক পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শাহাবুদ্দিন আহমেদ। পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধে তাঁর বাবার ভূমিকা নিয়েও আলোচনা-সমালোচনা করেন। এরই প্রতিবাদে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে নানা কর্মসূচি পালন করে আসছেন সাংসদ শাজাহান খানের সমর্থকেরা। একই সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পক্ষ থেকেও সাংসদ শাজাহান খানের কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানায় জেলা আওয়ামী লীগ। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।

আরও পড়ুন