মাদারীপুর থেকে ৮০ মিনিটে অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা মেডিকেলে

রোগী নিয়ে পদ্মা সেতু দিয়ে দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছাতে পারছেন অ্যাম্বুলেন্স চালকেরা। রোববার সেতুর জাজিরা প্রান্তের টোলপ্লাজায়
ছবি: প্রথম আলো

পাঁচ বছর ধরে রফিকুল ইসলাম (৩৮) অ্যাম্বুলেন্স চালিয়ে দক্ষিণাঞ্চল থেকে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে রোগী নিয়ে যান। ফেরি বিড়ম্বনার কারণে কখনো দুই-তিন ঘণ্টার কমে পদ্মা পার হতে পারেননি। গতকাল রোববার দুপুরে রোগী নিয়ে সাত মিনিটে পদ্মা পার হয়েছেন রফিকুল।

মাদারীপুরের রাজৈর থেকে রোগী নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছেছেন ১ ঘণ্টা ২০ মিনিটে। রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘১৫ দিন আগে মাদারীপুর থেকে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত এক রোগী নিয়ে ঢাকা যাচ্ছিলাম। ফেরির জন্য ঘাটে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছিল। ফেরি শিমুলিয়া ঘাটের কাছে পৌঁছার আগেই ওই রোগী মারা যান।’

রফিকুল বলেন, ‘পদ্মা সেতুর কারণে আজ (রোববার) দ্রুততম সময়ে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত এক রোগীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছে দিতে পেরেছি।’

মাদারীপুরের রাজৈর থেকে যে রোগীকে ১ ঘণ্টা ২০ মিনিটে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে, তাঁর স্বজন সায়েদুর রহমান বলেন, গ্রামের চিকিৎসকেরা যখন রোগীকে ঢাকায় নিতে বলেন, তখন প্রাণে পানি থাকে না। এখন দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে পৌঁছাতে পেরে স্বস্তি কাজ করছে। দ্রুত চিকিৎসা পাওয়ায় রোগীও কিছুটা বিপদমুক্ত।

মাদারীপুরের চরমুগিরা থেকে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের এক রোগী নিয়ে রোববার দুপুরে রাজধানীর মগবাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে যান অ্যাম্বুলেন্সচালক মাহাবুব সরদার। তিনি দেড় ঘণ্টায় ঢাকার যাত্রাবাড়ী পৌঁছান। আর যাত্রাবাড়ী থেকে মগবাজারে পৌঁছতে আরও এক ঘণ্টা সময় লাগে।

মাহাবুব সরদার বলেন, ‘জীবনে এই প্রথম এত দ্রুততম সময়ে রোগী নিয়ে ঢাকায় পৌঁছতে পেরেছি। হায়াত আল্লাহর হাতে, এরপরও এখন অন্তত রোগীদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করা যাবে।’