হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় এক নারীকে তিনজন সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগী নারীকে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মাধবপুর পৌর এলাকার আতিক মিয়া (৩২), পূর্ব মাধবপুরের বাদশা পাঠান (৩৩ ), জীবন মিয়া (৩১) ও কাটিহারা এলাকার লাকী আক্তার (৩৫)।
পুলিশ ও মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মাধবপুর উপজেলার বিদেশফেরত এক নারীর (২৬) সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে মাধবপুর পৌর এলাকার বাসিন্দা আতিক মিয়ার। নারীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলেন তিনি। ইদানীং ওই নারী বিয়ের জন্য আতিককে চাপ দেন।
বুধবার দুপুরে ওই নারীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে শহরের কাটিহারা এলাকার বাসিন্দা লাকী আক্তারের বাসায় নিয়ে যান আতিক। এরপর তাঁকে বলা হয়, রাতে তাঁদের বিয়ে হবে। একপর্যায়ে আতিক নারীকে ধর্ষণ করেন। এ সময় এ দৃশ্য মুঠোফোনে ধারণ করেন আতিকের বন্ধু বাদশা পাঠান ও জীবন মিয়া। পরে তাঁরা ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। রাতেই সেখান থেকে পালিয়ে মাধবপুর থানায় গিয়ে অভিযোগ দেন নারী। পুলিশ তাঁর কাছ থেকে বিবরণ শুনে রাতেই ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আতিক, বাদশা পাঠান ও জীবন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। পাশাপাশি ওই বাড়ির মালিক লাকী আক্তারকেও গ্রেপ্তার করা হয়। ভুক্তভোগী নারী নিজে বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই নারী বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে জানান, তিনি সৌদি আরবে থাকতেন। চাকরি শেষে গত ২২ আগস্ট দেশে ফেরেন। দেশে আসার পরই আতিকের সঙ্গে তাঁর পরিচয় ও প্রেম হয়। আতিক তাঁকে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে একাধিকবার সংসর্গ করেন। সর্বশেষ বুধবার আতিকসহ তিনজন তাঁকে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের দৃশ্য মুঠোফোনে ধারণ করে রাখা হয়।
মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক জানান, এ ঘটনায় পুলিশ চারজনকে তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার করে। বৃহস্পতিবার আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। পাশাপাশি ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।