কক্সবাজার জেলার মানচিত্র

সমুদ্রপথে বাংলাদেশ থেকে ৫৮ জনকে মালয়েশিয়ায় পাচারের সময় বঙ্গোপসাগর থেকে মানব পাচারকারী চক্রের ২ সদস্যকে (দালাল) আটক করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র‍্যাব)। আজ শুক্রবার ভোররাতে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়ার শামলাপুর গভীর সমুদ্র থেকে একটি ট্রলারসহ তাঁদের আটক করা হয়।
এ সময় ওই ৫৮ ব্যক্তিকেও উদ্ধার করা হয়। তাঁদের মধ্যে ২৪ জন নারী, ১১ শিশু ও ২৩ জন পুরুষ রয়েছেন। এর মধ্যে ৫৭ জন রোহিঙ্গা ও ১ জন বাংলাদেশি নাগরিক।

অভিযানের বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ানের (র‍্যাব-১৫) উপঅধিনায়ক মোহাম্মদ তানভীর হাসান। তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোররাতে অভিযান চালিয়ে গভীর সমুদ্র থেকে দালালসহ এই ৫৮ ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে রোহিঙ্গা নারী ও পুরুষদের মালয়েশিয়ায় ভালো চাকরি ও নারীদের উপযুক্ত ছেলেদের সঙ্গে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দালালচক্রের সদস্যরা মালয়েশিয়ায় পাচারের চেষ্টা করছিলেন। এ জন্য তাঁদের ট্রলারের ওঠানো হয়েছিল। এ বিষয়ে আজ বেলা তিনটার দিকে র‍্যাবের কক্সবাজার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে।

তাৎক্ষণিকভাবে মানব পাচারকারী দালাল ও উদ্ধার হওয়া নারী-পুরুষ-শিশুদের নাম ঠিকানা জানা না গেলেও বাংলাদেশি একজন ছাড়া সবাই উখিয়া ও টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। তাঁদের র‍্যাবের হেফাজতে কক্সবাজারে নেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত সোমবার দুপুরে কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার সোনাদিয়া দ্বীপ থেকে ১৪৯ জন রোহিঙ্গা শিশু-নারী ও পুরুষকে উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁদেরও মালয়েশিয়া নেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সেখানে জড়ো করা হয়েছিল। পরদিন তাঁদের নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে পাঠানো হয়। ওই সময় উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৭৮ জন নারী, ২৩ শিশু ও ৪৮ জন পুরুষ ছিলেন। তাঁরা সবাই উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরের বাসিন্দা ছিলেন।

আরও পড়ুন

সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া পাচারের চেষ্টা, সোনাদিয়া থেকে ১৪৭ রোহিঙ্গা উদ্ধার