মুক্তিপণ দাবিতে দুবাইয়ে বাংলাদেশি দুই শ্রমিককে আটকে রেখে নির্যাতন

অপরাধ
প্রতীকী ছবি

মুক্তিপণ দাবিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শহর দুবাইয়ে দুই বাংলাদেশি শ্রমিককে আটকে রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা ১১টায় প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করা হয়।

নির্যাতনের শিকার দুই বাংলাদেশি শ্রমিক হলেন ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার ঘাঘা গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে রুবেল হোসেন ও কুল্লুপাড়া গ্রামের হায়দার আলী মৃধার ছেলে জাহিদুল ইসলাম। নির্যাতিত দুই শ্রমিককে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্যে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে মানবাধিকার সংগঠন রাইটস যশোরের নির্বাহী পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক লিখিত বক্তব্যে বলেন, দুই মাস আগে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার তালসার গ্রামের মোবারক হোসেন ওরফে শফিকুল ইসলাম ওই দুই যুবককে ভালো কাজ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে দুবাই পাঠানোর প্রস্তাব দেন। পরে তাঁর কথামতো দুই যুবকের অভিভাবকেরা চার লাখ করে টাকা তুলে দেন মোবারক হোসেনের হাতে। রুবেলকে শপিংমলে ম্যানেজার পদে ৫০ হাজার ও জাহিদুলকে ওয়েল্ডিং কারখানায় ৬০ হাজার টাকা বেতনের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি জাহিদুল ও ২৬ মার্চ রুবেল দেশ ত্যাগ করেন। দুবাই যাওয়ার পর তাঁদের একটি কক্ষে আটকে রেখে দুই লাখ করে মোট চার লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হচ্ছে।

বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক বলেন, ১৫ মে এ বিষয়ে রাইটস যশোরকে বিস্তারিত জানান ভুক্তভোগীরা। যুবকদের অভিযোগ, দালাল মোবারক দুবাইয়ের এক ব্যবসায়ীর কাছে তাঁদের বিক্রি করে দিয়েছেন। তাঁরা মূলত মোবারকের খপ্পরে পড়ে পাচার হয়েছেন। বর্তমানে না খেয়ে ও অসুস্থ অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন তাঁরা। তাঁদের উদ্ধার করে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য রাইটস যশোরের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ মিশন দুবাই কনস্যুলেট জেনারেল, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে সহযোগিতা চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভুক্তভোগী রুবেল হোসেনের বাবা শফিুকল ইসলাম ও জাহিদুলের আত্মীয় মোহাম্মদ ইউসুফ। সেখানে পাচার হওয়া দুই যুবককে দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকার ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সহযোহিতা প্রত্যাশা করা হয়েছে।