মুরাদ হাসানের নামে ময়মনসিংহ আদালতেও মামলার আবেদন

মুরাদ হাসান
ফাইল ছবি

নারীর প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ, অশালীন ও অবমাননাকর বক্তব্যের জেরে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ হারানো সাংসদ মুরাদ হাসানের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ময়মনসিংহ সাইবার ট্রাইব্যুনালেও মামলার আবেদন করা হয়েছে।

আজ সোমবার সকালে আবেদনটি করেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য আইনজীবী রেজাউল করিম চৌধুরী। এর আগে আজ বরিশালের সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তাঁর নামে মামলার আবেদন করা হয়।

ময়মনসিংহ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী আব্দুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, মামলাটি আদালত আমলে নিয়েছেন। ১ জানুয়ারি মামলার শুনানির দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী নুরুল হক প্রথম আলোকে জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে মুরাদ হাসান কটূক্তি করে নারীদের প্রতি অসম্মান দেখিয়েছেন। যে কারণে শুধু প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোই শেষ কথা নয়, বিচারের জন্য দেশের প্রচলিত আইনে মামলার আবেদন করা হয়েছে। আশা করছেন, আদালত মামলাটি গ্রহণ করবেন। মামলায় মুরাদ হাসান ছাড়াও ইউটিউবে টক শোর উপস্থাপক মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদকেও আসামি করা হয়েছে।

সম্প্রতি ভার্চ্যুয়াল একটি টক শোতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন সদ্য সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান। এ নিয়ে নানা মহলে সমালোচনা শুরু হয়। সেই সঙ্গে একজন চলচ্চিত্র নায়িকার সঙ্গে আপত্তিকর ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় মুরাদ হাসান বিতর্কিত হন। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন তিনি, একই সঙ্গে দলীয় পদও হারান। পদত্যাগের পর অনেকটা নীরবে কানাডার উদ্দেশে দেশ ছাড়েন তিনি। তবে কানাডায় ঢুকতে না পেরে গতকাল রোববার রাতে তিনি দেশে ফেরেন।

২০১৯ সালের মে মাসে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে মুরাদ হাসানকে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। মুরাদ হাসান জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী উপজেলা) আসনের সাংসদ। তাঁর বাবা প্রয়াত মতিউর রহমান তালুকদার জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।

আরও পড়ুন