মুহিবুল্লাহ হত্যায় আরও তিন রোহিঙ্গার তিন দিনের রিমান্ড
রোহিঙ্গাদের অধিকার আদায়ের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আরও তিন রোহিঙ্গার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় তিন আসামিকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। বিচারক তামান্না ফারাহ তিনজনকে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তিন আসামি হলেন উখিয়ার লাম্বাশিয়া ১–ইস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এ-১৫ ব্লকের বাসিন্দা জাকির আহমদের ছেলে আবদুস সালাম (৩২), কুতুপালং ৮-ডব্লিউ ক্যাম্পের এইচ-৫৪ ব্লকের বাসিন্দা মৃত মকবুল আহমদের ছেলে জিয়াউর রহমান (৩০) ও কুতুপালং ৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা রজক আলীর ছেলে মো. ইলিয়াছ (৩৫)।
এর আগে গত রোববার একই মামলার অন্য দুই আসামি মো. সলিম (৩৩) ও শওকত উল্লাহকে (২৩) তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে আটটায় লাম্বাশিয়া আশ্রয়শিবিরের ডি ব্লকের আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (এআরএসপিএইচ) সংগঠনের কার্যালয়ে ঢোকার সময় বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হন মুহিবুল্লাহ (৪৮)। তিনি ওই সংগঠনের চেয়ারম্যান ছিলেন। ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়া থানায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ।
এ ঘটনায় ১ অক্টোবর সকালে উখিয়ার লাম্বাশিয়া ১-ইস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থেকে মো. সলিমকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) এবং মধুরছড়া ৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-১৫ ব্লক থেকে শওকত উল্লাহকে উখিয়া থানা-পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
২ অক্টোবর ভোররাতে লাম্বাশিয়া ১-ইস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এ-১৫ ব্লক থেকে আবদুস সালাম (৩২) কে, ৮-ডব্লিউ কুতুপালং ক্যাম্প থেকে জিয়াউর রহমানকে (৩০) গ্রেপ্তার করে এপিবিএন। ৩ অক্টোবর কুতুপালং ৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে মো. ইলিয়াসকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে এপিবিএন। গ্রেপ্তার পাঁচজন মিয়ানমারের সশস্ত্র সংগঠন ‘আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি’র (আল ইয়াকিন নামেও পরিচিতি) সক্রিয় সদস্য ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উখিয়ার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কার্তিক চন্দ্র পাল বলেন, মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছেন পাঁচজন। এর মধ্যে আজ তিনজনের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।