স্বপন আলী

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় কুপিয়ে জখম করার ১৪ দিন পর স্বপন আলী (৩৫) নামের এক যুবলীগ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। এই দীর্ঘ সময় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে শুক্রবার ভোর পাঁচটার দিকে তিনি ঢাকায় মারা যান। স্বপন আলী উপজেলার কবিরপুর গ্রামের মৃত আহাম্মদ আলীর ছেলে।

এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে চায়ের দোকানে স্বপন আলী ও রাব্বি হোসেন নামের দুই যুবলীগ কর্মী বসে ছিলেন। এ সময় ১০–১৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দল রামদা, চাইনিজ কুড়াল নিয়ে তাঁদের ধাওয়া করে। ধাওয়া খেয়ে পালানোর চেষ্টা করে তাঁরা শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঢুকে পড়েন। এ সময় পেছন থেকে সন্ত্রাসীরা তাঁদের দুজনকে ধরে ফেলে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন।

তাঁদের দ্রুত শৈলকুপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে চিকিৎসক স্বপন আলীকে প্রথমে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। পরে অবস্থার আরও অবনতি হলে তাঁদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নেওয়া হয়। সেখানেই ১৪ দিন পর তাঁর মৃত্যু হয়। হামলাকারীরা একই দলের প্রতিপক্ষ বলে জানান এলাকাবাসী। ঘটনার পরদিন ১৮ ডিসেম্বর ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে শৈলকুপা থানায় একটি হত্যা প্রচেষ্টার মামলা হয়। যে মামলায় কয়েকজন আসামি জামিন নিয়েছেন।

শৈলকুপা উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইকু সিকদার জানান, স্বপন আলী তাঁর কাছের কর্মী ছিলেন। প্রতিপক্ষরা তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
এ বিষয়ে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, স্বপন আলীর মৃত্যুর খবর তিনি পেয়েছেন। অপরাধী যে–ই হোক, ছাড় দেওয়া হবে না।