সবুজের এমন কৃতিত্বে পাড়া-প্রতিবেশীসহ গ্রামের মানুষ আনন্দিত। প্রতিদিন তাঁর বাড়িতে মানুষ ভিড় করছেন। এত আনন্দের মাঝে বাবা আবদুর রাজ্জাকের মুখে হতাশা। তিনি বলেন, ‘বড় পরিবার। ছেইলিপিলিকে কষ্ট করে মানুষ কইরিচি। হাটে হাটে সবজি বিক্রি কইরি কোনোরকম সংসার চালাচ্ছি। কিছু জায়গাজমি ছিল, যা নদীভাঙনে বিলীন হয় গিচে। এখন সামনে কী হবে বুঝছিনি।’
আবদুর রাজ্জাক আরও বলেন, তাঁর দুই ছেলে এমএ, বিএ পাস করেছে। আরেকটা ছেলে এসএসসি পাস করে বাড়িতেই থাকে। সবুজ মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু সেখানে পড়াশোনা করাতে টাকা লাগবে। সেই টাকা কোথায় পাবেন সেই দুঃচিন্তা কাজ করছে। সবুজের মা মানজুরা খাতুন বললেন, ‘ছেইলিকে পড়াতি লাগি কষ্ট করিচি।’
বৈরাগীরচর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুদ রানা প্রথম আলোকে বলেন, সবুজ খুবই মেধাবী ছাত্র। মাধ্যমিকে পড়ার সময় তাকে সব রকম সহযোগিতা করা হয়েছিল। সৌজন্য সংখ্যার বইগুলো তাকে দেওয়া হতো। তার স্বপ্ন ছিল মেডিকেলে পড়ার। সেই স্বপ্নপূরণ হয়েছে। এই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সবুজই প্রথম কোনো শিক্ষার্থী যে মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পেয়েছে। তার পরিবারের অবস্থা খুবই খারাপ। তাকে সহযোগিতা করলে সে অনেক দূর যেতে পারবে।