ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন এখন ‘ক্যাটল স্পেশাল’

ট্রেনে তোলা হচ্ছে কোরবানির পশু। শনিবার সন্ধা সাড়ে ছয়টার দিকে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে।
ছবি: প্রথম আলো

রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমচাষিদের জন্য ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন চালু করা হয়েছিল। এখন সেই ট্রেনের নাম হয়েছে ‘ক্যাটল স্পেশাল’। শনিবার থেকে নাম বদলে ট্রেনটি গরু নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে।

রবি ও সোমবারও ট্রেনটি চলবে। কোরবানির পশু নিয়ে বিকেল সাড়ে চারটায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ট্রেনটি যাত্রা শুরু করে। আর সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে রাজশাহী ছাড়বে।

স্বল্প খরচে ঢাকায় আম নিয়ে যেতে গত ২৭ মে চালু হয় ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন। শনিবার ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন চলেনি। একই ট্রেন নাম বদলে হয়ে যায় ক্যাটল স্পেশাল। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে চারটি ওয়াগনসহ ট্রেনটি রাজশাহী আসে। এরপর এতে আরও চারটি ওয়াগন যুক্ত হয়ে যায়।

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে স্বল্প ভাড়ায় ঢাকায় কোরবানির পশু পরিবহনের জন্য এই ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তবে কোরবানির ঈদের একেবারেই শেষ মুহূর্তে এসে ট্রেনটি চালু করা হলো। ব্যাপারীরা বলছেন, আরও আগে ট্রেনটি চালু করলে ভালো হতো। তবে ট্রেনের চেয়ে ট্রাকে গরু পরিবহনেই ভোগান্তি কম। কারণ, ট্রাকে হাট পর্যন্ত যাওয়া যায়। ট্রেনে গেলে প্রথমে গরু ট্রাকে নিয়ে স্টেশনে যেতে হবে। তারপর ঢাকায় নেমে আবার ট্রাকে তুলে হাটে যেতে হবে।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, বিকেল সাড়ে চারটায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে ট্রেনটি আমনুরা বাইপাস, কাঁকনহাট, রাজশাহী, হরিয়ানা, উল্লাপাড়া, জয়দেবপুর, ধীরাশ্রম, টঙ্গী ও তেজগাঁও স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে। রাজশাহী রেলস্টেশন থেকে ছাড়বে সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৪টি ওয়াগনে ২০টি করে মোট ৮০টি গরু নেওয়া যাবে।

শনিবার বিকেলে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক আবদুল করিম জানান, প্রথম দিনের জন্য আগেই বুকিং দেওয়া হয়েছিল। এদিন চাঁপাইনবাবগঞ্জের ২০টি, রাজশাহীর ২০টি, বড়াল স্টেশন থেকে ২০টিসহ মোট ১২০টি গরুর বুকিং ছিল। মোট তিন দিন চলবে এই ট্রেন।

স্টেশন ব্যবস্থাপক জানান, ট্রেনটির একটি ওয়াগনের ভাড়া ১১ হাজার ৮৩০ টাকা। এতে ২০টি গরু পরিবহন করা যাবে। কারও ২০টি গরু না থাকলে কয়েকজন ব্যাপারী একসঙ্গে অথবা কয়েকজন খামারি একসঙ্গে হয়ে ওয়াগন নিতে পারবেন। এতে প্রতিটি গরুর জন্য রাজশাহী থেকে ভাড়া পড়বে ৫৯১ টাকা ৫০ পয়সা।