ময়মনসিংহে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি, ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান

তরমুজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ময়মনসিংহে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নগরের নতুন বাজারে
সংগৃহীত

ময়মনসিংহ নগরে গ্রীষ্মকালীন ফল তরমুজের দামে কয়েক দিন ধরে ক্রেতাদের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দেয়। ক্রেতাদের অভিযোগ, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অন্যান্য বছরের চেয়ে দ্বিগুণ দামে এ বছর তরমুজ বিক্রি করা হচ্ছে। আগে প্রতিবছর ময়মনসিংহে প্রতি পিচ হিসাবে তরমুজের দাম নির্ধারণ করা হতো। এ বছর সিন্ডিকেট করে তরমুজ কেজি দরে বিক্রি করে কৌশলে দাম দ্বিগুণ করা হয়েছে।

ক্রেতাদের এমন অভিযোগের পর আজ মঙ্গলবার দুপুরে ময়মনসিংহ নগরের নতুন বাজার ও চরপাড়ায় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে কৃষি বিপণন আইন ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে বেশ কয়েকজন তরমুজ বিক্রেতাকে জরিমানা করা হয়।

কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করায় নতুন বাজার ও চরপাড়া এলাকার বিভিন্ন দোকান থেকে ৮ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাইদুল ইসলাম ও শাহাদাৎ হোসেন নতুন বাজার ও চরপাড়া এলাকায় তরজুমের দোকানে অভিযান পরিচালনা করেন। দুটি এলাকার বিভিন্ন দোকান থেকে ৮ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের পর আজ বেলা দুইটার দিকে নতুন বাজারে দেখা যায়, তরমুজ কেজি দরে না বিক্রি করে প্রতি পিচ হিসাবে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে এতেও দামের খুব বেশি তারতম্য হচ্ছে না। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের আগে ৬০ টাকা কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করা হচ্ছিল। এতে বড় তরমুজের দাম ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা করে পড়েছে। এখন প্রতি পিচ হিসাবে বড় আকারের তরমুজের দাম পড়ছে ২৮০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা করে।

এ সময় নতুন বাজারের কয়েকজন তরমুজ ব্যবসায়ী বলেন, এ বছর তরমুজের পাইকারি দাম অন্যান্য বছরের চেয়ে বেশি হওয়ায় খুচরা বাজারে বেশি বিক্রি করতে হচ্ছে। এ ছাড়া ময়মনসিংহের বাজারে বিক্রি হওয়া তরমুজ আসছে খুলনা থেকে। লকডাউনের কারণে পরিবহন খরচ পড়ছে অনেক বেশি। এ কারণে কিছুটা বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। কোনো সিন্ডিকেটের বিষয়ে তাঁরা কিছু জানেন না বলে দাবি করেন।