ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু হয়নি। প্রায় চার মাস পর মৃত্যু শূন্য এ বিভাগে। সেই সঙ্গে করোনার সংক্রমণও কমেছে। এদিন ১ হাজার ৩২৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে করোনা পজিটিভ হয়েছেন ১০৯ জন।
নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৮ দশমিক ২০ শতাংশ। এর আগের দিন ১ হাজার ৪১১ নমুনা পরীক্ষায় ১৪১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। আজ শুক্রবার দুপুরে বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ময়মনসিংহ বিভাগে করোনা আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৫ হাজার ৬৮৩। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ১০৯ জনের মধ্যে ময়মনসিংহে ৪৯ জন, নেত্রকোনায় ১৯, শেরপুরে ৩২ ও জামালপুরে ৯ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ময়মনসিংহ জেলায় ২১ হাজার ২৬১ জন, জামালপুরে ৫ হাজার ৬৪, নেত্রকোনায় ৪ হাজার ৭৭৬ ও শেরপুরে ৪ হাজার ৫৮২ জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে আরও জানা যায়, গতকাল সুস্থ হয়েছেন ১০৩ জন। সুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ময়মনসিংহে ৭৪ জন, জামালপুরে ১১ ও শেরপুরে ১৮ জন সুস্থ হয়েছেন। এদিন নেত্রকোনা জেলায় কেউ সুস্থ হননি। বিভাগে সর্বশেষ ৩২ হাজার ২৯৩ জন সুস্থ হয়েছেন। বিভাগে আক্রান্তের বিপরীতে সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৫০ শতাংশ। বিভাগের চার জেলার মধ্যে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থ তিন ক্যাটাগরিতে শীর্ষে রয়েছে ময়মনসিংহ জেলা।
ময়মনসিংহ বিভাগে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৭৭ জন। এর মধ্যে ময়মনসিংহ জেলার সর্বোচ্চ ২৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। শতকরা হিসাবে ৪৭ শতাংশই ময়মনসিংহ জেলার বাসিন্দা। এ ছাড়া নেত্রকোনার ১২৩ জন, জামালপুরের ৯২ ও শেরপুরের ৮৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ময়মনসিংহ বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক শাহ্ আলম বলেন, চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপের সুফল মিলতে শুরু করেছে। তারপরও করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সবাইকে মাস্ক পরিধান করতে হবে এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। যাঁরা এখনো টিকা গ্রহণ করেননি, তাঁদের সবাইকে নিবন্ধন করে টিকা গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।