যশোরে নিখোঁজের তিন দিন পর যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার, আটক ১
যশোরের মনিরামপুরে নিখোঁজের তিন দিন পর এক তরুণের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার মদনপুর গ্রামের একটি পুকুরের পাড় থেকে পুঁতে রাখা ওই লাশ উদ্ধার করেন যশোর পিবিআইয়ের সদস্যরা।
নিহত তরুণের নাম মো. এমরামুল (১৯)। তিনি উপজেলার ভরতপুর গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে ও স্থানীয় একটি কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্র। একরামুল হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আমিনুর রহমান (২৭) নামের এক যুবককে আটক করেছে পিবিআই। আমিনুর একই গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে ও সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজের ভূগোল বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী।
পিবিআই সূত্রে জানা গেছে, ২৮ মার্চ সন্ধ্যায় এমরামুল বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। এরপর তিনি রাতে বাড়িতে ফেরেননি। কোথাও তাঁর সন্ধান না পেয়ে গতকাল বুধবার একরামুলের মা রেশমা বেগম মনিরামপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে এ ঘটনায় তদন্তে নেমে আজ সকালে আমিনুরকে আটক করে পিবিআই। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আমিনুরের দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, মদনপুর গ্রাম থেকে একরামুলের লাশ উদ্ধার করা হয়।
পিবিআই যশোরের পরিদর্শক শামীম মুসা বলেন, একরামুলের সঙ্গে আমিনুরের ভাবির পরকীয়া সম্পর্ক ছিল বলে অভিযোগ আছে। বিষয়টি নিয়ে একরামুল ও আমিনুরের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আমিনুর জানিয়েছেন, গতকাল একরামুলের গলায় তার পেঁচিয়ে তাঁকে হত্যা করেন তিনি। এরপর আমিনুর লাশটি পুকুরপাড়ে পুঁতে রাখেন।
একরামুলের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। একরামুলের মায়ের করা জিডি নিয়মিত হত্যা মামলা হিসেবে রূপান্তর হবে বলে জানিয়েছেন শামীম মুসা।